৪০ লাখ ৯২ হাজার ১০৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা ভূমি অফিসের সাবেক নাজির মো. রফিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। রবিবার (২৮ আগস্ট) দুদকের পটুয়াখালী জেলা সমন্বয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বাদী মামলাটি করেছেন।
রফিকুল ইসলাম পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বহালগাছিয়া গ্রামের মৃত তোজাম্বর আলী হাওলাদারের ছেলে। এর আগে দুর্নীতির আরেক মামলায় বরখাস্ত হন। এরপর ২০১৫ সালে বাউফল উপজেলা ভূমি অফিসে মৌখিক দায়িত্ব পালনকালে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, কলাপাড়া উপজেলায় চাকরিকালে এক মামলায় বরখাস্ত হন। পরে ২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করে প্রশাসন। বরখাস্ত থাকাকালে বাউফল উপজেলা ভূমি অফিসে জনবল সংকট থাকায় সংশ্লিষ্টরা তাকে মৌখিকভাবে নাজিরের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে ৫১টি চালানের মাধ্যমে সরকারি অর্থ কোষাগারে জমা না দিয়ে ভুয়া চালান দেখিয়ে ৪০ লাখ ৯২ হাজার ১০৬ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় অভিযোগ দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে। অভিযোগের পর তাকে রাঙ্গাবালী উপজেলায় বদলি করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের দীর্ঘ অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মামলাটি করা হয়।
এদিকে একই কারণে চলতি বছরের ৩ জুন তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিলেও রিসিভ করেননি।
পটুয়াখালী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন জানান, রফিকুল ইসলাম সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫১টি চালানের মাধ্যমে অর্থ জমা না দিয়ে ভুয়া চালান সৃজন করেন। যা ক্যাশ বইতে পেস্ট করে চালানে ৪০ লাখ ৯২ হাজার ১০৬ টাকা আত্মসাৎ করে। পেনাল কোড ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অপরাধ করেছে। অনুসন্ধানে যার তথ্য প্রথম পাওয়া গেছে।