যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অর্ধডজন আ.লীগ নেতা
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট, ২০২২, ২:৩৪ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
যশোর ব্যূরো : ৬১ জেলা পরিষদে তফসিল ঘোষণা করেছে সরকার। আগামী ১৭ অক্টোবর সারা দেশের ন্যায় যশোর জেলা পরিষদের ভোট। ১৫ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে আগ্রহী অর্ধডজন আওয়ামী লীগ নেতা। ইতিমধ্যে তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। যদিও জেলা পরিষদে দলীয় মনোনয়ন ঠিক করবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
যশোরে আগ্রহীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক সাইফুজ্জামান পিকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদ, সহসভাপতি খয়রাত হোসেন, আবদুল খালেক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা শাহ হাদিউজ্জামান। এরপর এক বছর দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী দলীয় মনোনয়ন দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান পিকুলকে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। আবারও চেয়ারম্যান পদে তিনি আসতে আগ্রহী।
সাইফুজ্জামান পিকুল জানান, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। রাস্তা নির্মাণ, শিক্ষা বৃত্তি, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ও অসহায় মানুষদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছি। আবারও চেয়ারম্যান হতে পারলে বাকি কাজ করতে পারবো। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করবেন দলীয় মনোনয়নের জন্য।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, আমি ১৯৬৮ সালে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলাম। ২০১২ সাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ছিলাম। দল ক্ষমতায় আসার পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্যরা জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। আমি কোথাও যেতে পারিনি। এজন্য এবার আশাবাদী দলীয় সভাপতি আমাকে যশোর জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদ বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে আমি ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতির সাথে যুক্ত। ৭৫ সালে ঢাকার ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগ ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য ছিলাম। এখন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে আছি। আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইবো। আশাবাদী দলের নেত্রী আমাকে বেছে নেবেন। আমি চেয়ারম্যান হতে পারলে আম জনতার সেবা করবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেন বলেন, আমি ৫৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আছি। দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এখন দলীয় নেত্রী যদি আমাকে জেলা পরিষদে মনোনয়ন দেন তাহলে জনগণের সেবা করতে পারবো। শেষ জীবনে আমার কোন লোভ নেই, শুধু যশোরের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সদ্য বিলুপ্ত যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকও আলোচনায় রয়েছেন। তিনি বলেন জেলা পরিষদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর ঢাকায় নেতাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলাম। আশা করছি নেত্রী এবার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, আমি ১৯৮৬ সালে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের ভিপি ছিলাম। এরপর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলাম। বর্তমানে যশোর নারী ও শিশু বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পিপি হিসেবে আছি। আসলে জনপ্রতিনিধি না হতে পারলে জনগণের সেবা করা যায় না। এজন্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চাইবো। নেত্রী দিলে যশোরবাসীর কিছুটা সেবা করতে পারবো।