মোল্লারহাটে মজিবর মোল্লার জন্য খননকৃত কবর করা হলো ভরাট : পরিবারের ক্ষোভ
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বিশেষ সংবাদদাতা : ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মরহুম জুলফিকার আলী ভুট্টোর ছোট ভাই বরিশাল সিএন্ডবি রোডের জননী মঞ্জিল নিবাসী মজিবর রহমান মোল্লা গত বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটের সময় ঢাকায় বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মরহুম মজিবর রহমান মোল্লাকে তার ওসিয়ত অনুযায়ী মোল্লারহাট জেড এ ভুট্টো ডিগ্রি কলেজের সম্মুখে মোল্লারহাট জেড এ ভুট্টো ডিগ্রি কলেজের পাশে সমাহিত করার জন্য কবর খনন করা হয়। সেই খননকৃত কবর অদৃশ্য ইশারায় ভরাট করা হয় বলে অভিযোগ মরহুম মজিবর রহমান মোল্লার পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় লোকদের অভিযোগ স্রেফ রাজনৈতিক কারনেই খননকৃত কবর ভরাট করে ওখানে দাফন করতে দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় মোল্লারহাটের সাধারন মানুষ ধিক্কার, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, মৃত ব্যক্তির কবর ও দাফন নিয়ে যা করা হয়েছে তা নোংরামী ও অসভ্যতা।স্থানীয় লোকজন জানায়,যারা মরহুম মজিবর রহমান মোল্লার জন্য,খননকৃত কবর যাদের ইশারায় ভরাট করা হয়েছে তারা কাফেরদের থেকেও চরম কাফেরদের মত কাজ করেছে। তারা মানুষ নয় অসভ্য ও জানোয়ার। এ ঘটনায় সকলের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মরহুম মজিবর রহমান মোল্লার বড় পুত্র নাজিউর রহমান মুন্না বলেন, মোল্লারহাট জেড এ ভুট্টো ডিগ্রি কলেজ আমাদের বাপ দাদার সম্পত্তিতে গড়া। এ ছাড়া
আমার মরহুম চাচা মোল্লারহাট জেড এ ভুট্টো ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, দাতা আলহাজ্ব মরহুম জুলফিকার আলী ভুট্টো যেখানে শায়িত আছেন সেটা সম্পুর্ন আলাদা জায়গা আমাদের পরিবারের।আমার বাবা বেঁচে থাকার সময় বলেগেছে তার মৃত্যু হলে যেন ভাই আলহাজ্ব মরহুম জুলফিকার আলী ভুট্টোর পাশে যেন সমাহিত করা হয়। সেই ওসিয়ত অনুযায়ী আমরা আমার বাবার দাফনের জন্য চাচার কবরের পাশে কবর খনন কাজ শুরু হয়। হঠাৎ একদল লোক এসে খননকৃত কবরটি ভরাট করে ফেলে। নাজিউর রহমান মুন্না বলেন,যাদের ইশারায় কবর ভরাট করা হলো তারা অন্যায় করেছেন। সঠিক কাজ করেননি। একজন মৃত মানুষের সাথে এমনটি করা খুবই ন্যক্কারজনক ও দুঃখজনক। তিনি বলেন, অনেককেই ওখানে দাফন করা হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় আমার বাবার কবর খনন করা হয়েছে। এর আগেও অনেককে দাফন করা হয়েছে তখনতো বাধাঁ বা খননকৃত কবর ভরাট করা হয়নি। ঘটনাটি সকলের কাছে লজ্জাকর ও নিন্দাজনক। তিনি বলেন, জুলফিকার আলী ভুট্টো কলেজ আমাদের জমিতে প্রতিষ্ঠিত। এছাড়া আমরাই প্রতিষ্ঠাতা কলেজটির। এছাড়া কলেজের সামনে আমাদের কবরস্থান নির্দিষ্ট।
এখানে দাফন করা যাবেনা এমন কোন তো আইন হয়নি বা নাই ।
মুন্না বলেন,প্রিন্সিপালকে কল দিয়েছিলাম তিনি রিসিভ করেন নি। আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছি । তীব্র নিন্দা জানাই। এই জটিলতার কারনে সময় নস্ট হয়েছে। বাবার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তাকে দাফন করতে পারি নাই এ কস্ট আমাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে।দায়ীদের দৃস্টান্তমুলক শাস্তি চাই। বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। পরবর্তীতে নিজ বাড়িতে বাবাকে আমার দাদীর পাশে দাফন করি। মুন্না সকলের নিকট তার বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন।