মেহেন্দিগঞ্জ ইউএনওর কাছে অভিযোগেও বন্ধ হয়না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০২৩, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার || প্রভাবশালী মহলের ঘুষ নিয়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ করে মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়াতে চলছে দিনরাত অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন।গত ৯ মার্চ বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারসহ স্থানীয় ইউএনওর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেও ভুক্তভোগী ও কৃষকরা ব্যর্থ হয়েছেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে।অভিযোগ সূত্র মতে, স্থানীয় গোবিন্দপুর ইউপির মেম্বর জসিম,মৃত আক্কেল রাড়ির পুত্র সালাউদ্দিন রাড়ি,পূর্ব ষাট্টির বাসিন্দা মোতাহার হাওলাদারের পুত্র মুজাহার উদ্দিন মুবিন,হযরত আলীর পুত্র আরিফ মোল্লা,মকবুল আহমদের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান সহ একটি প্রভাবশালী চক্র বিভিন্ন মহলে ঘুষ দিয়ে দিনরাত চালাচ্ছে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন,মাটি কাটা।
স্থানীয় কৃষকদের দাবী, উলানিয়া ইউনিয়নে ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু কাটার মহোৎসবের মূল হোতা মেম্বর জসিম। উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের হর্ণি গ্রামে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু কাটার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুন্নবীর হস্তক্ষেপে প্রায় মাসখানেক আগে বালু কাটা বন্ধ করে দেয় নৌ-পুলিশ কালীগঞ্জ স্টেশন ইনচার্জ মো. ফারুক হোসাইন। বন্ধ করার ১ মাসের মাথায় স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও বালু উত্তোলন করছেন অভিযুক্ত মহলটি।
ফসলি জমি ও সরকারি খাল-বিল বাদ পড়েনি এ বালু কাটা থেকে। একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় কয়েক দিন যাবৎ সালাউদ্দিন রাঢ়ীর জমি হইতে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু কেটে তা বিক্রি করছে। কিন্তু ড্রেজার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে তাদের কাছে জমি এগ্রিমেন্ট রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ফৈরাদী বলেন, বালু উত্তোলন সাময়িক বন্ধ থাকলেও নতুন করে পুনরায় বালু উত্তোলন করার পায়তারা করছেন মহলটি। স্থানীয়রা জানান, ড্রেজার স্থাপন করে মাটি উত্তোলন করার খনন করা জায়গাটি গভীর হওয়ার পর আশপাশের জমিগুলোতে ভাঙনের সৃষ্টি হয়।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জামাল মোল্লা অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে ইউএনওকে অবগত করেছেন,তবে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানেন না তিনি।
বিষয়টি নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জের ইউএনও মো.নুরুন্নবিকে লিখিতভাবে জানতে চাইলে এ রিপোর্ট করা পর্যন্ত কোন উত্তর দেননি তিনি।
অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলামকে জানতে চাওয়া হয় যে, ইউএনও ‘ব্যবস্থা নেয়া’র সুপারিশের পরও কেন কাজ চলছে? উত্তরে তিনি বলেন ‘বাদী মিজানুর রহমান তার দরখাস্তের কথা অস্বীকার করেছিলেন।এরপর আমি আর জানিনা’