ভোলা ॥ মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের জন্য মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে সকল ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। তবে সকল জেলে ও ব্যবসায়ীদের দাবী সব ধরনের জাল যেন নদী থেকে তুলে দেয়া হয়। প্রভাব খাটিয়ে যেন কেউ মাছ ধরতে না পারে। আইন যেন সবার জন্য সমান হয়। একই সাথে সরকারের দেয়া অনুদানের চাল সমান বন্টনেরও দাবী জেলেদের। জেলে মো: তোফায়েল রাঢী বলেন, ‘উপরে যদি সব জাইল্ল্যা (জেলে), বাঁধা, মশারীসহ সব নিষিদ্ধ জাল যদি তুলে দেয়া যায়, তাতে জেলেরা এই অভিযানে লাভবান হয়’। শুধু তাই নয় নদীতে প্রশাসনের হয়রানী আর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চাঁদাবাজী বন্ধ করার দাবী জানান জেলে মো: নাছিম। দীর্ঘদিন ধরে ইলিশ শিকার করা এই জেলে বলেন, সময় হলেই আপনারা আসেন আর বক্তব্য নিয়ে যান, তাতে আমাদের লাভ কি। মাছ শিকার করিনি। তবে সরকারীভাবে দেয়া অনুদান তো পাইনা। সবই পায় প্রভাবশালীদের আত্মীয় স্বজনরা। মা ইলিশ রক্ষা অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইলিশ পড়েছে সাগরে। অতিমাত্রায় স্রোতের ফলে ইলিশ উপরে উঠতে পারেনি। ইলিশ ধরার উপর নির্ভরশীল জেলেরা বলেন, সংসার চালাতে তাদের কষ্টের কথা। অবৈধ নিষিদ্ধ জাল বন্ধের প্রতি জোর দাবী জানিয়ে জেলেরা বলেন, মাছ ধরতে যেন কেউ নদীতে না নামতে পারে এ জন্য সরকারকে কঠোর হতে হবে। একই সাথে সুর মিলিয়ে আড়ৎদাররা বলেন, আমাদের ব্যবসা ২২ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষনা করে সকল জেলেদের আড়ৎদাররা মাছ না ধরার জন্য উৎসাহিত করে বলেছেন, কেউ যদি মাছ ধরে কোন ধরনের বিপদে পড়ে তার দায় তারা নিবে না। একই সাথে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারকে সহযোগীতার কথা বলেন এসব আড়ৎদারেরা।
ইলিশ প্রজনন নিশ্চিত করতে মৎস্য বিভাগের নেতৃত্বে প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করার কথা জানিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, অভিযান শতভাগ সফল করার লক্ষ্য নিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এবার নদীতে যাতে জাল নিয়ে নামতে না পারে সেদিকেই নজর আমার বেশি থাকবে। জাল, মাছ ও ট্রলার জব্দ কিংবা জেলে আটক নয়। যাতে এসব করতে না হয়, সেদিকটাই নজর দিচ্ছি। কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না যদি কেউ জাল হাতে নদীতে নামে। একই সাথে চাল বিতরণের অনিয়ম সহ্য করা হবে না।