* স্পেক্ট্রা হেক্সা নাম সাই মেগা ফিড কোম্পানীর তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনায় লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশী :ক্ষতিপুরন দাবী
মামুনুর রশীদ নোমানী : স্পেক্ট্রা হেক্সা নাম সাই মেগা ফিড কোম্পানীর যশোর তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা ক্রয় করে প্রতারনার শিকার ও লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে ঝালকাঠীর বিনয়কাঠীর বহরমপুরের এইচ বি এ্যাগ্রো ফার্ম । সরেজমিন প্রদর্শন , ফার্মের মালিক ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এইচ বি এ্যাগ্রো ফার্ম
স্পেক্ট্রা হেক্সা নাম সাই মেগা ফিড কোম্পানীর যশোরের বরিশালের ডিলার আল মদিনা ট্রেডিংয়ের নামে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ৫০ হাজার পিচ মনোসেক্স তেলাপিয়ার পোনা ক্রয় করে। বিক্রয়ের সময় মেগা ফিড কোম্পানীর ডিলার ও বরিশালের বিভাগীয় ইনচার্জ বলেছেন তিন মাসে মাছের সঠিক সাইজ হবে এবং এক বছরে কোন বাচ্চা দিবেনা।
মেগা ফিড কোম্পানী থেকে পোনা নেয়ার পরে
এইচ বি এ্যাগ্রো ফার্ম মাছের মেগা ফিড খাওয়ানোর তিন মাসের মধ্য বাচ্চা দেয়। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হয় ফার্মের মালিক। প্রায় দশ লাখ টাকা ব্যয় করেছে ইতিমধ্য। হয়েছে প্রতারনার শিকার।লাভের বদলে ক্ষতি হওয়ায় ফার্মের মালিক দুঃশ্চিন্তায় ।
বিশ্বাস, নির্ভরতা সব দিক দিয়ে মেগা ফিড শ্লোগান নিয়ে তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা বিক্রি করলেও প্রতারিত হচ্ছে মাছ চাষিরা।
এ ব্যাপারে এইচ বি এ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মোঃ বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন, আমি সরল বিশ্বাষে ৫০ হাজার পিচ পোনা ক্রয় করেছি। এক বছরে বাচ্চা দিবেনা কোম্পানীর লোকজন বললেও তিন মাসে বাচ্চা দেয়ার কারনে পুরোটাই এখন লস। তিনি বলেন স্পেক্ট্রা হেক্সা নাম সাই মেগা ফিড কোম্পানীরর নামে এবং ডিলারের নামে ক্ষতিপুরন, বিশ্বাষ ভঙ্গ এবং প্রতারনার কারনে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো। বেলায়েত হোসেন বলেন পোনা,খাবার,শ্রমিক, ঔষধসহসহ দশ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে এখন আমি প্রতারিত। লাভের বদলে আমি এখন লসের ঘানি টানছি।
এ ব্যাপারে বরিশালের ডিলার আল মদিনা ট্রেডিংয়ের মালিক পারভেজ বলেন,আমাদের আল মদিনা ট্রেডিংয়ের নামে স্পেক্ট্রা হেক্সা নাম সাই মেগা ফিড কোম্পানী থেকে ৫০ হাজার পিচ মনোসেক্স তেলাপিয়ার পোনা নিয়েছে এইচ বি এ্যাগ্রো ফার্ম ।আমাকে ফার্মের মালিক বেলায়েত হোসেন জানিয়েছে যে,তিন মাসের মধ্য বাচ্চা দিয়েছে। আমি বিষয়টি জেনে স্পেক্ট্রা হেক্সা নাম সাই মেগা ফিড কোম্পানীর বরিশালের প্রতিনিধিকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে স্পেক্ট্রা হেক্সা নাম সাই মেগা ফিড কোম্পানীর বরিশালের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন যে,আমি অভিযোগ পাওয়ার পরেই এইচ বি এ্যাগ্রো ফার্ম সরে জমিন পরিদর্শন করেছি। কেন এমনটা হলো তা আমার জানা নাই ।ক্ষতি পুরনের বিষয়ে বলেন ,আবার পোনা ক্রয় করলে আমরা অতিরিক্ত পোনা দিবো। দশলক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হলো কিছু পোনা দিয়ে কি ক্ষতিপুরনের দাবী যৌক্তিক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,৪ থেকে পাচ লাখ টাকার খাবার দিয়েছে মাছরে। পোনার দাম ৮০ হাজার টাকা। অন্যান্য ব্যয়ের কথা স্বিকার করে বলেন আমি কোম্পানীকে জানাবো তবে তারা কোন ক্ষতিপুরন দিবেনা।
এ ব্যাপারে স্পেক্ট্রা হেক্সা ফিড্স এবং স্পেক্ট্রা হেক্সা নাম সাই কোম্পানী লিমিটেড এর সিনিয়র এজিএম কৃষিবিদ রনজিৎ দেবনাথ ও এজিএম মীর আশফাক হোসাইনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
স্থানীয় একাধিক লোকজন জানিয়েছে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এইচ বি এ্যাগ্রো ফার্ম । ব্যাংকঋণ ও ধার দেনা করে ফার্মটি করেছেন এর মালিক বেলায়েত হোসেন । দেনা আছে মাছের খাবারের দোকানেও।
ক্ষতিপুরন না পেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না সে কথা বলছেন খোদ মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারাও।
লাভের বদলে ক্ষতি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন
বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, আমাকে একেবারে নিঃস্ব করে দিয়ে গেছে তাদের প্রতারনা।
ব্যাংকে লোন,বিভিন্ন দোকানে দেনা আছে ।তিনি বলেন, এক টাকার মাছও বিক্রি করতে পারেনি। ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি।
এব্যাপারে স্পেক্ট্রা হেক্সা ফিডস্ এবং স্পেক্ট্রা হেক্সা নাম সাই কোম্পানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার খান মো. আফতাব উদ্দিনের অফিসে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।