মারধর-চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগে বরিশালে শ্রমিকদের বিক্ষোভ অবরোধ
প্রকাশ: ২২ মার্চ, ২০২৩, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বরিশালে দুই শ্রমিককে মারধর ও চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠেছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।
পরবর্তীতে পুলিশ বিচারের পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে আন্দোলন থেকে সরে আসেন শ্রমিকরা।
স্থানীয়রা জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে শ্রমিকরা বরিশাল নগরীর রুপাতলী এলাকার সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। এর কিছুক্ষণ পর ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা, ফলে মহাসড়কের দুইপাশে সৃষ্টি হয় যানজটের। আর এতে খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী ও বিক্ষুব্ধরা জানান, সোমবার ফ্লোরে দুই শ্রমিকের মধ্যে ঝামেলা হয়। এরপর ফ্যাক্টরির জেনারেল ম্যানেজার তাদের ডেকে নেন। জিএম কারো কথা না শুনে ওই শ্রমিকদের মারধর করেন এবং তাদের বসিয়ে রাখেন দীর্ঘক্ষণ। পরে তাদের কার্ড জব্দ করে সামান্য কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে চাকরিচ্যুত করে বাহিরে বের করে দেন। বিষয়টি শ্রমিকরা জানতে পেরে রাতেই ফ্যাক্টরির ভেতরে বিক্ষোভ করেন। তবে জিএম সাহেব কোনো সমাধান না দিয়ে চলে যান। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শ্রমিকরা এক হয়ে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় তারা অন্যায়ভাবে দুই শ্রমিককে চাকরি থেকে ছাঁটাই ও মারধর করার প্রতিবাদ জানান এবং ওই ঘটনায় সঠিক বিচার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবার কথাও জানান সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক।
তবে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ স্বীকার করলেও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানটির জিএম শামীম সরকার।
এদিকে শ্রমিক আন্দোলনের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের পর পুলিশের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন পোশাক শ্রমিকরা। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, এ ঘটনায় বিচারের পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিনশ শ্রমিক কাজ করেন। শ্রমিকদের বেতন কম প্রদানসহ নানা অভিযোগে প্রায়ই আন্দোলন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিতে।