হে অভূতপূর্ব সম্মোহনী যাদুকর;
তোমার প্রেমে বশীভূত করে
আমাদের দিয়েছো চির শান্তির অধিবাস ।
ভাষা,মানবাধিকারে , রাষ্ট্রীয় চুক্তি,
প্রতীক ও পদ্মা, মেঘনা যমুনার তরে পরাধীনতার শোষণ উগ্রে
পূর্ব বাংলাকে মানচিত্র দিতে
নিদারুণ, নিপীড়নের চির অবসানে,
রক্তাক্ত,জর্জরিত,বারুদে ঝলসিত অবয়বে অবদমিত ভূমিকায়,অগণিত জনতা হতে,একটি শক্তিশালী তর্জনীর উদাত্ত আহবানে, বিশাল প্রান্তরে তুমি আষ্টেপৃষ্টে বসেছিলে সেই মুক্তিকামী শ্রেষ্ঠ মুজিব ও ভক্তদের প্রশস্ত বুকে ।
জনসমুদ্রের অঙ্গীকার প্রান্তরে সেদিন ছিলোনা কোনো শিশপার্ক,রেস্তোরাঁ,দালান,
ছিলো শুধু একখন্ড আকাশ ও সবুজের ধু ধু মাঠ।
তব প্রেমে বজ্রকন্ঠে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল সেদিন শ্রমিক,কৃষক,ধাঙর, নরসুন্দর,অগণিত ছাত্র শিক্ষক, সাংবাদিক, চিত্রশিল্পী ও সাধারণ জনতা।
পূর্ব বাংলার আপাম জনতার
সার্বজনীন সুখ দিবারে তুমি হজম করেছো পৈচাশিক ধংস,মহামারী মৃত্যুক্ষুধা আর
অবর্ণনীয় বিদঘুটের উপর কাক,শকুনের অস্পৃশ্য ভাগাভাগির নির্মম দৃশ্য ।
সয়েছো হিন্দু মুসলমান প্রমাণের
বিবস্ত্রকরণ প্রক্রিয়ায় নির্লজ্জ সনাক্তকরণ।
দেখেছো বন্ধি মুক্তিযোদ্ধাদের হাত পা কেটে মুখে গামছা গুজে টগবগে গরম পানি ঢালার অমানুষিক নির্যাতনের দৃশ্য।
বিদগ্ধ যন্ত্রণার নয়মাস পর
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে,লাল সবুজের নিশান উড়ায়ে
অবিসংবাদিত নেতা, বাঙ্গালী জাতির পিতা তথা বঙ্গবন্ধুর দেয়া নামে বাংলাদেশে তুমি
এলে হে মহান স্বাধীনতা।