মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ বরিশাল নগরবাসী। দিনের বেলায়ও কয়েল জ্বালিয়ে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। মশাদের বাঁচামরার লড়াইয়ে দিনশেষে যেন জয় হয় মশাদেরই। এদিকে মশানিধন কর্মীরা বলছেন, ড্রেন ও খালগুলো অপরিষ্কার থাকায় নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর পরও মশা কমছে না।
এদিকে বর্ষা মৌসুমের আগে ভালো মানের ওষুধ ছিটিয়ে মশানিধনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও সচেতন মহল।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বসিক) মশানিধন কার্যক্রমের টিম লিডার মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রতিদিন ৪টি দলে ভাগ হয়ে ৬০ জন কর্মী নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মশানিধনে ওষুধ ছিটিয়ে থাকেন। পাঁচজনের একটি ইমারজেন্সি টিমও কাজ করে ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু ড্রেন ও খালগুলো অপরিষ্কার থাকায় ওষুধ ছিটানোর পরও মশানিধন সম্ভব হচ্ছে না।তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করছি মশানিধনের।বর্ষা মৌসুমে মশার সমস্যা প্রকট হবে জানিয়ে পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারে সঠিকভাবে মশানিধন হয় না।নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমেনা বেগম জানান, দিনেও কয়েল ধরাতে হয়। মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমিনুল জানান, মশার ওষুধের সঙ্গে কেরোসিন তেল মিশিয়ে দেয়া হয়। ফলে প্রচুর ধোঁয়া হলেও মশা মরছে না। আর মশা না মরায় নগরবাসীর জীবন অতিষ্ঠ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক লিঙ্কন বাইন বলেন, বর্ষার শুরুতে মশানিধনে সংশ্লিষ্টদের উচিত যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। না হলে মশার কারণে অনেক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে।
বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘প্রতিবছরই আমরা মশাবাহিত রোগের মোকাবিলা করি। এ বছরও আমরা প্রস্তুত আছি। যদিও আমরা সচেতনতা ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি রোগীর সংখ্যা কমবে।’
জেলা স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরিশালে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।