মঠবাড়িয়ায় স্ত্রীর হত্যা অভিযোগে মামলা, স্বামী পালাতক ॥ গ্রেফতার- ৩
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা :পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মারিয়া আক্তার তন্বী (১৫) নামে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী প্রেম করে পরিবারের অমতে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। অত:পর বুনিবনাধ না হওয়ায় আত্মহত্যা করেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। কিন্তু নিহতের পরিবার তন্বীর মৃত্যুর ঘটনা পরিকল্পিত হত্যা দাবী করেন এবং নিহতের ভাই মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ৪ জনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো- নিহত তন্বী আক্তারের স্বামী পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিনহাজুল রহমান রাব্বি, শ^শুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুজিবুর রহমান, শাশুড়ী শিরিন বেগম, ননদ মাকসুদা আক্তার। নিহত তন্বী উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের দুবাই প্রবাসি হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং মঠবাড়িয়া কে,এম লতীফ ইনষ্টিটিউশনের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
থানা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরেই নিহতের শ^শুর মুজিবুর রহমান, শাশুড়ী শিরিন বেগম, ননদ মাকসুদা আক্তার গ্রেফতার করেছে। সোমবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মাঠবাড়িয়া থানা পুলিশ মারিয়া আক্তার তন্বী আক্তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠান। এ ঘটনার পর থেকে তন্বীর স্বামী মিনহাজুল রহমান রাব্বি পলাতক রয়েছে।
নিহত তন্বীর চাচাতো ভাই ফোরকার হোসেন জানান, দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া তন্বী রাব্বির সাথে প্রেমে জড়িয়ে ৩ মাস আগে ঢাকায় পালিয়ে যায়। এদিকে তন্বীর মা শোক সইতে না পেরে স্টোক করে মারা যান। পরে ৩ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান শিকদার ও ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান মিলনের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি তাদের বিয়ে হয়। ঢাকায়ও তাদের বিয়ে হয়েছিলো। বিয়ের পরে বাড়িতে থেকে তন্বী তার ভাইকে মাঝে মধ্যে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতো। গতকাল সোমবার সকালে ভাইকে যেতে বললে, তন্বীর ভাই ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেনি। বিকেলে আবারও যেতে বললে তন্বীর ভাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। ৫টার দিকে তাকে বলা হয় হাসপাতালে যেতে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের লাশ দেখতে পান।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক রাব্বিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।