মঠবাড়িয়ায় সুপারের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মুখে
প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:৫০ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলার ছোট শৌলা শাহাদাৎ হোসেন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. মোস্তফা কামালের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুপারের গঠিত অবৈধ কমিটি বাতিল চেয়ে আদালতে দেয়া মামলায় বাদী হওয়ায় শিক্ষক মো. লাভলু তালুকদারের বিল বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিভাবক ও মামলা সূত্রে জানাযায়, মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. মোস্তফা কামাল নিয়মিত মাদ্রাসায় না গিয়ে বাড়িতে বসে মাদ্রাসার কাজ করেন। তার অনৈতিক কাজে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকদের বেতন যখন তথন বন্ধ করে দেন। সুপারের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা বর্তমানে ১শ‘র নিচে নেমে এসেছে। অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে গোপনে গত ১৪.০৯.২২ তাং সুপার কর্র্তৃক গঠিত ম্যানেজিং কমিটি ১৩.১০.২২ তারিখ বোর্ড থেকে অনুমোদন পর প্রকাশ হলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অবৈধ কমিটি বাতিল চেয়ে অভিভাবক মো. নুরুল ইসলাম, দাতা সদস্য মোসা. নাজমা বেগম ও শিক্ষক মো. লাভলু তালুকদার গত ১৪.১১.২২ তারিখ মঠবাড়িয়া সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
শিক্ষক লাভলু তালুকদার জানান, মামলায় বাদী হওয়ায় সুপার তার সরকারী অনুদান বন্ধ করে দিযেছেন।
মাদ্রাসার ৪ দাতা সদস্য এবং ৯ শিক্ষক নোটারি পাবলিকে এই বলে এফিডেভিট দিয়েছেন যে, সুপার কর্তৃক গঠিত কমিটি সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না।
মাদ্রাসার সহ সুপার মাওলানা আ. গফ্ফার উল্লেখিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তার পিতা আ. মজিদ হাওলাদার দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে ১৯৭৭ খ্রীষ্টাব্দে মাদ্রসাটি প্রতিষ্ঠিত করেন। মাদ্রাসাটি সুনামের সাথে চলে আসলেও বর্তমানে সুপারের দুর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় ধ্বংসের মুখে উপনিত হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার এবং গঠিত ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার মো. নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার কাছে জমা দেয়া তফসিল অনুযায়ি তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তার দায় সুপারের।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগ করলে চরম অবজ্ঞার সাথে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাহিন মিয়া জানান, মাদ্রাসার সুপারের সাথে শিক্ষকদের অভ্যন্তরিন কোন্দলে মদ্রাসাটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমি চাই মাদ্রাসাটি ঠিকভাবে চলুক। সহকারী শিক্ষক লাভলু তালুকদারের বিল করে দেয়ার জন্য সুপারকে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।