মঠবাড়িয়ায় মোবাইল ফোন নিয়ে ছেলের সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে বাবাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার চালিতাবুনিয়া এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহত আমিরুল ইসলাম হাওলাদার (৪২) উপজেলার চালিতাবুনিয় গ্রামের মোকসেদ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের পিতা।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চালিতাবুনিয়া গ্রামের হায়দার পঞ্চায়েত (৫০), তার ছেলে কলেজছাত্র তাহসিন আরবি (১৮), একই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মাহাবুবুর রহমানের ছেলে নিরাজ মাহামুদ (১৭), রাজমিস্ত্রি ইউনুসের ছেলে মো. হোসাইনকে (১৭) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চালিতাবুনিয়া দীনিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে মঙ্গলবার রাতে ওয়াজ মাহাফিল শুনতে যান আমিরুল। মাহাফিল শেষে রাত ২টার দিকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় স্থানীয় দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে সড়কে পৌঁছলে ওতপেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ফেলে। এরপর দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সড়কে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। আমিরুলের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে গ্রামবাসীর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আমিরুলের বড় ভাই অলিউল ইসলাম খোকন অভিযোগ করে বলেন, আমিরুল ইসলাম ৭-৮ বছর আগে প্রবাস জীবন শেষে বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে। এলাকার হায়দার পঞ্চায়েতের ছেলে তাহসিন আরবির সঙ্গে আমিরুলের ছেলে তরিকুল ইসলামের একমাস আগে মোবাইল ফোন নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এছাড়া পাশের বাড়ির সৌদি প্রবাসীর মেয়েকে তাহসিন বিয়ে করতে চায়। পরে আমিরুল ওই মেয়েকে তার ভাগ্নের সঙ্গে বিয়ে দেন। এসব ঘটনার জেরে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি তাহসিন আরবি ফেসবুক পেজে হুমকি দিয়ে একটি পোস্টও দেয়।
মঠবাড়িয়া থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গভীর রাতে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।