বাসস : জেলার ৭ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৭৯ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ কার্যক্রম চলছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ৬’শ ২০ হেক্টর জমিতে। চলতি মাসের প্রথম থেকে আবাদ শুরু হয়ে চলবে আগামী মাসের শেষ পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে আমনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে কৃষি বিভাগ আশা প্রকাশ করে। এবছর ৭ হাজার কৃষককে আমনের প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট জমি থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার ২’শ মেট্রিকটন চাল উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানায়, মোট আমন আবাদের মধ্যে উফশী ১৬ হাজার, স্থানীয় ২ হাজার ৬’শ ও হাইব্রিড ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রাকৃত ১ লাখ ৭৯ হাজার ২’শ হেক্টর জমির মধ্যে উফশী ১ লাখ ৫৭ হাজার ও স্থানীয় ২২ হাজার ২’শ হেক্টর রয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবোহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের কথা জানান তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির বাসস’কে জানান, জেলায় প্রায় প্রতি বছরই আমনের বাম্পার ফলন হয়ে আসছে। এবছর বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৪’শ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জেলার ৭ হাজার কৃষকের প্রত্যেকের জন্য ৫ কেজি করে উন্নত জাতের বীজ, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ জেলায় সাধারণত ব্রীধান-৫২, ৭৬, ৭৭, ৪০, ৫১, ৪৯, বিআর-২৩, ১১ ও বিনা ধান-৭, ১১, ১৭ ও ৪ জাতের আবাদ বেশি করা হয়।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার মোট আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সদর উপজেলায় ২৪ হাজার ১’শ হেক্টর, দৌলতখানে ১৭ হাজার, বোরহানউদ্দিনে ১৮ হাজার ৪’শ, লালমোহনে ২৩ হাজার ৫’শ, তজুমদ্দিনে ১১ হাজার ৯’শ ৯০, চরফ্যাশনে ৭২ হাজার ৮৫ ও মনপুরায় ১২ হাজার ১’শ ২৫ হেক্টর জমি রয়েছে।
সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া এলাকার কৃষক হাতেম আলী, কামরুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক বলেন, তারা প্রত্যেকে ২ একর করে জমিতে আমন আবাদ করছেন। ইতোমধ্যে চারা রোপণ শুরু করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ সেবা পাচ্ছেন বলে জানান তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির বাসস’কে বলেন, জেলায় আউশের চেয়ে আমনের অবস্থা ভালো রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সঠিক জাত নির্বাচন, সারিবদ্ধ চারা রোপণ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগসহ সব ধরনের পরামর্শ সেবা প্রদান অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, কৃষকদের সমস্যা সমাধানে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সচেষ্ট রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় আধুনিক পদ্ধতিতে আমন ধান রোপণে প্রায় ৫’শ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের কথা জানান তিনি।