বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ, পটুয়াখালী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি,
পটুয়াখালীতে পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার বাহিনী দিয়ে মাকসুদুর রহমান তালুকদারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজনরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় পটুয়াখালী পিডিএস মাঠের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধনে নিহতের বড় মেয়ে মাকসুদা আক্তার মিশু বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমি ঢাকা থেকে আসি। ঢাকা থেকে এসে বাবর লাশটাকে ভালভাবে দেখতেও পারি নাই। তবে তার আগেই নাকি লাশ দাফন করা হয়।
৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার যখন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন সুতাখালী খাল দেখতে যান, তখন সুস্থ শরীরে তাদের সাথে কথা বলেন আমার বাবা। তার কিছুক্ষণ পর নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যানের সামনেই মেয়র আমার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমার চাচাতো ভাইকে পুলিশ হ্যান্ডকাপ পরায়। পরে সবাই বেরিয়ে গেলেও সন্ধ্যার পর আমার বাবার লাশ পাওয়া যায় শ্মশানের ভেতর। এছাড়া আমার বাবা যদি স্টকের কারণে মৃত্যু হয়। তবে বাবার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন এলো কোথা থেকে। আসলে আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মাকসুদুর রহমান তালুকদারের বোন ঝুমা বেগম বলেন, যে জনগণের প্রতিনিধি সে জনগনকে রক্ষা করার উল্টো তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলল। আমার ভাই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী পটুয়াখালী পৌরসভার সুতাখালী খাল দেখতে যান এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তখন খাল রক্ষার দাবি নিয়ে এগিয়ে আসেন প্রতিবাদী এক বৃদ্ধ। এতে চেয়ারম্যানের সামনেই ওই বৃদ্ধকে হুমকি দেন পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ। মেয়রের বিপক্ষে অবস্থায় নেওয়ায় ওই বৃদ্ধের এক আত্মীয়কে পুলিশ গ্রেপ্তারও করে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাসির নামের একজনকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
পৌর মেয়র মো. মহিউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।