বিসিসির ২৩ নম্বর ওয়ার্ড: জনপ্রিয়তায় কাউন্সিলর প্রার্থী আজাদ সুবিধাজনক স্থানে :হৃদয় জয় করেছে ভোটারদের
প্রকাশ: ২ জুন, ২০২৩, ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২৩ নং ওয়ার্ড একটি জনবহুল ও বৃহত এলাকা নিয়ে বিস্তৃত ।এই ওয়ার্ডের নবগ্রাম রোডস্থ খান সড়কের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মো: শাহিন খান আজাদ।পেশায় প্রবাসী ব্যবসায়ী তরুন এই প্রার্থীকে ঘিড়ে আশায় বুক বাঁধছে ২৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা । মো: শাহিন খান আজাদ নিজেকে মেলে ধরেছেন বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনন্ত প্রেরণা ও শক্তির বাতিঘর হিসেবে। তিনি একজন সদা হাস্যোজ্জ্বল ও মিষ্টিভাষী হিসেবেই পরিচিত।
এবারের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৩ নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন পরিকল্পনায় নাগরিকদের সম্পৃক্ততা ও কল্যাণের অঙ্গিকার নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। প্রথমবার নির্বাচনী মাঠে নেমেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই তরুন। মানুষের মাঝে মিশে গিয়ে নিজের সবটুকু দিয়ে সাহায্য সহযোগিতায় পাশে থাকেন সেই কৈশর বয়স থেকেই। শৈশবেই এমন নৈতিক শিক্ষায় পারিবারিক ভাবেই দীক্ষিত হয়েছেন তিনি ।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি তার নির্বাচনী এলাকায় দিনরাত মানুষের মাঝে সময় দিচ্ছেন এ প্রার্থী ।
এছাড়াও জনপ্রিয়তায়ও তিনি অনেকটা এগিয়ে আছেন । সূশীল সমাজ, তরুন-নবীন ও যুব-প্রবীণ সমাজে রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা ।এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসায়, এতিমখানা, মন্দির, অসহায়, দুস্থ ও গরীব মানুষদের আর্থিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বছেরে পর বছর যাবত । তরুণ এ নেতা ইতিমধ্যে প্রবীন, তরুণ ও যুব সমাজের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে বলে অনেকে মনে করছেন । তরুণ, যুবক ও মেহনতি মানুষ আজাদের পাশে দাড়িয়েছেন । দীর্ঘ দিন যাবৎ তিনি সমাজ সেবায় তৎপর রয়েছেন । সদা হাস্যময়, ভদ্র স্বভাব ও সুলভ আচরনের এ ব্যক্তিটি এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সমাজকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে চান ।
এ বিষয়ে আজাদ বলেন, জনগন আমাকে নির্বাচিত করলে আমার জনসেবা করার পরিধি আরো ক্রমশ বৃদ্বি পাবে । এলাকার রাস্তা ঘাট, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মন্দির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবো। এলাকার সচেতন মানুষদের সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজী, চুরি, ডাকাতি, মাদক, নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ ,ইভটিজিং রোধে সোচ্চার হবো।এছাড়াও আমার এলাকায় অসংখ্য কর্মক্ষম বেকার তরুন রয়েছে, তাদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা আমার অন্যতম নৈতীক দায়ীত্ব বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন, আল্লাহতালা আমাকে অনেক দিয়েছে তাই এখন মানুষের সেবায় নিজের বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই ।
প্রাথীদের মূল্যায়ন করতে গিয়ে ২৩ নং ওয়ার্ডের সাগরদী এলাকার বাসিন্দা হাসান বলেন, শাহিন খান আজাদ একজন সৎ ও ন্যায় নিষ্ঠাবান ব্যক্তি । তার অর্থের কোন লোভী নেই । তিনি সমাজে বিত্তবান পরিবারের সন্তান । তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হবে । স্থানীয় ভোটাররা জানান, শাহিন খান আজাদ একজন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সৎ, ন্যায়-পরায়ন ও জনবান্ধব প্রকৃতির লোক । বিপদে, দূঃসময়ে আমরা তার নিকট থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি । এলাকায় সামাজিক ও পারিবারিক সহ বিভিন্ন কার্যকলাপে তার ভুমিকা অসীম । আমরা আসন্ন সিটি নির্বাচনে আমাদের এলাকা থেকে তরুণ প্রজন্মের একজন সৎ নির্ভীক জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাকেই দেখতে চাই।
এদিকে আসন্ন সিটি নির্বাচনে ২৩ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা ৬ জন । এরা হলেন এনামুল হক বাহার, মো: রাফাউর আলম, মো: মিজানুর রহমান, মো: শামিম ও মো: শাহিন খান আজাদ । এদের মধ্যে প্রচার প্রচারনা ও সাধারন মাঠ জরিপে এগিয়ে আছেন ব্যবসায়ী ও তরুন সমাজসেবক মো: শাহিন খান আজাদ। তিনি বিগত কয়েক বছর যাবত বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত রয়েছেন ।
এছাড়া বাকি প্রার্থীদের মধ্যে এনামুল হক বাহার বর্তমান কাউন্সিলর । ক্ষমতাসীন দলীয় প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় ভোটারদের নিয়ে শক্তিশালী বলয় তৈরী করতে না পারলেও দলীয় প্রভাবে তিনি একজন শক্ত প্রার্থী । এছাড়া মো: রাফাউর আলম দীর্ঘদিন যাবত জন বিচ্ছিন্ন থাকায় সাধারন ভোটারদের মধ্যে তাকে নিয়ে কোন ধরেনের আগ্রহ দেখা যায়নি ।আর অন্যান্য প্রার্থীরা সাধারন ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি । এদিকে ২৩ নং ্ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ১১৯জন ও ৬ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে ।
এদিকে সিটি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে শাহিন খান আজাদ বলেন, আমার উদ্দেশ্য মহৎ । আগামী ১২ জুন কোন রকম প্রভাবমুক্ত পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠীত হলে ২৩ নং ওয়ার্ডের ভোটাররা আমাকে নিরাশ করবে না । নির্বাচিত হলে জনগনের সকল অভাব অভিযোগ আন্তরিকতার সঙ্গে নিরসনের চেষ্টা করবো । সকল জনগণকে সাথে নিয়ে সমন্বয় করে পরামর্শ অনুযায়ী উন্নয়নমুলক সবধরনের কাজ করবো । তাই এলাকায় মত বিনিময় ও জনসংযোগকালে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি । জনমত যাচাইয়ে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে তুলনামুলক ভাবে তিনি অনেকটা এগিয়ে আছেন বলেও জানান এ প্রার্থী ।
উল্লেখ্য, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে জনগনের নিরাপত্তা দিতে মাঠে পাঁচদিন কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা । পাশাপাশি নগরীর ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জনের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন ।