বিশ্বে বহুল আলোচিত বিষয়ের মধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অন্যতম:নিজামূল কবীর
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১:২৯ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
তথ্যবিবরণী :
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: নিজামূল কবীর বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে বহুল আলোচিত বিষয়ের মধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অন্যতম। বিগত সময়ের সব হিসাব-নিকাশ বাতিল করে আমাদের দরজায় এখন যে শিল্পবিপ্লবটি কড়া নাড়ছে, সেটি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, যার গতির দৌড় কল্পনার চেয়েও বেশি।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবটির ভিত হচ্ছে ‘জ্ঞান এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ ভিত্তিক কম্পিউটিং প্রযুক্তি। রোবটিক্স, আইওটি, ন্যানো প্রযুক্তি, ডেটা সায়েন্স ইত্যাদি প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে নিয়ে যাচ্ছে অনন্য উচ্চতায়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে কর্মবাজারে।আগামী বিশ্বে তারাই নেতৃত্ব দেবে, যারা এই বিপ্লবে সফলকাম হবে।
মহাপরিচালক আজ বরিশাল জেলা তথ্য অফিসে ই-গভর্নেন্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে অবহিতকরণ সভায় এসব কথা বলেন। এসময় পটুয়াখালী জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার অনিমেষ কান্তি হাওলাদার, বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো: রিয়াদুল ইসলাম, বরগুনা জেলা তথ্য অফিসার সেলিম মাহমুদ, ঝালকাঠি জেলা তথ্য অফিসার মো: আহসান কবীর ও পিরোজপুর জেলা তথ্য অফিসার লেলিন বালা উপস্থিত ছিলেন।
অটোমেশন প্রযুক্তির ফলে ক্রমেই শিল্পকারখানা হয়ে পড়বে যন্ত্রনির্ভর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব আশঙ্কার ভেতরেই রয়েছে আগামী দিনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের বিশেষ সম্ভাবনা। বাংলাদেশে বর্তমানে তরুণের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আগামী ৩০ বছরজুড়ে তরুণ বা উৎপাদনশীল জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। এ জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল ভোগ করার এটাই সব থেকে বড় হাতিয়ার। জ্ঞানভিত্তিক এ শিল্পবিপ্লবে প্রাকৃতিক সম্পদের চেয়ে দক্ষ মানবসম্পদই হবে বেশি মূল্যবান। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে বিপুল পরিমাণ মানুষ চাকরি হারালেও এর বিপরীতে সৃষ্টি হবে নতুন ধারার নানাবিধ কর্মক্ষেত্র। নতুন যুগের এসব চাকরির জন্য প্রয়োজন উঁচু স্তরের কারিগরি দক্ষতা। ডেটা সায়েন্টিস্ট, আইওটি এক্সপার্ট, রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারের মতো আগামী দিনের চাকরিগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী তরুণ জনগোষ্ঠী।
এর আগে তিনি বরিশাল জেলা তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প স্থান পরিদর্শন করেন। সব শেষে মহাপরিচালক বিভিন্ন জেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন ও দাপ্তরিক কাজের খোঁজ খবর নেন। কর্মকর্তাদের জনগনকে সরকারি সেবা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচারণা আরও দ্রুত প্রদান করার নির্দেশনা দেন তিনি।