বিএম কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা : বাইরে থাকা আসামীদের হুমকিতে বাদি ঘরছাড়া
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ১০:১৩ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল বিএম কলেজ শিক্ষার্থী রবিউল খান শাওনকে হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিনে থাকা দু’জন এবং পালিয়ে থাকা দুই আসামীর হুমকিতে বাদি নিজেই ঘরছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মামলা কেন দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত মামলা তুলে না নিলে বাদির পরিবারের সকলকে হত্যা করে লাশ গুম করা হবে, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আহত বরিউলের পিতা হাফেজ খান।
মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার উত্তর বাদলপাড়া গ্রামে গত ৭ অক্টোবর গভির রাতে পূর্ব বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলতে যায় বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহায়ক পদে কর্মরত মিজানুর রহমান ফকির, মিলন ফকির সহ ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ খবর পেয়ে জমির মালিক হাফেজ খান ও তার ছেলে রবিউল খান শাওন সহ ৩/৪ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা প্রদান করেন। কিন্তু পূর্ব থেকে সশস্ত্র চক্র কোন বাধা না মেনে জমি দখল করে এবং বিএম কলেজ শিক্ষার্থী রবিউল খান শাওনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। অচেতন হয়ে পড়ায় মৃত ভেবে তারা শাওনকে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয় উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শাওনের মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় তাকে নিউরো সার্জারী অপারেশন করা হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত শাওন হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে স্বজনরা জানিয়েছেন, শাওনের অবস্থা এখনো ভালো নয়। তার মাথায় ২২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত ড্রেসিং করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলেছেন শাওন কখনোই পুরোপুরি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে সম্প্রতি এই মামলার ৪জন আসামী আদালতে হাজির হলে আদালত দুজনকে কারাগারে প্রেরণ করেন। আর কালাম খান ও ইদ্রিস ফকির নামে দুই আসামীকে জামিন প্রদান করেন। হামলায় নেতৃত্ব প্রদানকারী মিজানুর ফকির ও মিলন ফকির আদালতে হাজির হননি। তারা এলাকায় থাকলেও পুলিশ তাদেরকে খুঁজে পাচ্ছেনা। এসব আসামীরা এখন উল্টো বাদিকে হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় বাদি এখন নিজ ঘরেও নিরাপদবোধ করছেননা। তারা বিভিন্ন স্বজনদের বাড়িতে রাত্রি যাপন করছেন। এমতাবস্থায় মাননীয় আদালত এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগীতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মামলার বাদি হাফিজ খান।