বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ধীরে ধীরে কমে আসছে স্থল পথ। বিলীনের পথে ৫০ এর ও অধিক পরিবার।
উপজেলার নদী সংলগ্ন ব্রাহ্মণকাঠি গ্রাম, দান্ডোয়াট, ধানহাটখোলা, শিয়ালকাঠী, বাংলাবাজার, নলেশ্রী, মসজিদবাড়ী, দাসেরহাট, জিরাকাঠি, কালিরবাজার, চাউলাকাঠি, গোয়াইলবাড়ি গ্রামের বহু বসত বাড়ি-ঘর,ফসলি জমি,মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দির,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
সন্ধ্যার ভয়ালো গ্রাসে অনেক পরিবার হারিয়েছে পৈত্রিক ভিটে মাটি। সব হারিয়ে কেউ কেউ ছোট্র কুড়ে ঘরর আশ্রয় নিলেও তা ভাঙ্গছে বার বার। এখন তারা নিঃস্ব। অনুসন্ধানে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে সন্ধ্যা নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন বড় কারন।
প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার ভাঙন বেড়েই চলছে এতে কপাল পুড়ছে নদী পাড়ের অসংখ্য পরিবারের অপর দিকে কপাল খুলছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। কারো ক্ষতিতে কোন কিছুই আসে যায় না।
উপজেলার ব্রাহ্মণকাঠি গ্রাম, ইলুহার বিহারীলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খোদাবকসা, মিরেরহাট ও জম্বদ্বীপ সাইক্লোন শেল্টার সহ অসংখ স্থাপনা যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলিন হতে পারে এমন আশংকা স্থানীয়দের। তাই দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
কয়েক বছর পূর্বে ক্ষতিগ্রস্থরা নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে আশ্বাস নয় বাস্তবায়ন চাই স্লোগানকে সামনে রেখে কয়েক হাজার মানুষ মানববন্ধন করে ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি ও দিয়েছিলেন।
এ ছাড়া সদর ইউনিয়নের জম্বদ্বীপ, ব্রাক্ষ্মনকাঠি, কাজলাহার, সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের নলেশ্রী, দিদিহার, মসজিদবাড়ি, তালাপ্রসাদ, জিরারকাঠি ও চাখার ইউনিয়নের কালিরবাজার এবং চাউলকাঠি গ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ওই গ্রামগুলোর বিস্তীর্ন এলাকা ইতিমধ্যে সন্ধ্যা নদী গ্রাস করায় শত শত পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দ্রুত
সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম এর পক্ষ থেকে ভাঙন কবলিত কিছু কিছু স্থানে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে।