বাকেরগঞ্জ পৌর নির্বাচনী জয় পরাজয়কে কেন্দ্র করে আ.লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের : আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে
প্রকাশ: ৭ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার : ২৮ ডিসেম্বর বাকেরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী হারুন খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ৫ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতার ছবি ভাংচুর করে হামলাকারীরা। হামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৩ জন নেতা-কর্মী অাহত হয়েছেন। আহতরা হলেন,মুন তাসির প্রিয় (১৮), আসাদুজ্জামান খান হিরু (৪৫), ও জাহিদুল ইসলাম (৩০)। গুরুতর আহত প্রিয় খান কে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় তার শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকা নিউরো সাইন্সে ভর্তি করানো হয়। মুন তাসির প্রিয় বর্তমানো অবজার্ভেশনে রয়েছেন। সুস্থ্য হলে তাকে অপারেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন ও কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। মামলা সূত্রে, কাউন্সিলর প্রার্থী হারুন খান পরাজয়ের জন্য দোষারুপ করেন ৫ নং ওয়ার্ড অাওয়ামীলীগের নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ভরপাশা ইউনিয়ন অাওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি অাসাদুজ্জামান খান হিরু ও যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে। এই ঘটনার জের ধরে গত মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সময় পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী হারুন খান তার ২৫ থেকে ৩০ জনের বাহিনী নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে এসে ৫ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলায় চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতার ছবি ভাংচুর করে এছাড়া চেয়ার টেবিলও এসময় ভাংচুর করে। ঘটনার সময় অফিসে বসে থাকা অাওয়ামীলীগ নেতা হিরু,জাহিদুল ভাংচুরে বাধা দিলে হামলাকারীরা তাদের পিটিয়ে অাহত করে। হামলাকারীরা এক পর্যায়ে অাওয়ামীলীগ নেতা হিরুর পুত্র প্রিয় খানের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। প্রিয় খান হামলা থেকে রক্ষা পেতে দৌড়ে তার বাসায় গেলে সেখানেও হামলাকারীরা তার বাসায় ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়। এ নিয়ে এলাকায় আতংক বিরাজ মান একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর এমন সন্ত্রাসী হামলা নজিরবিহীন। বাকেরগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে অাসাদুজ্জামান হিরু ১০ জনকে অাসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১। মামলা হলেও আসামীদেন আটক করতে পারেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের। এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন আসামীদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। শিঘ্রই আসামীদের আটক করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। ৫ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় লোকজন হামলাকারী সন্ত্রাসীদের আটকের জন্য পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।