বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) অধীনের সাজাগুলোকে অত্যন্ত কঠোর (ড্রাকোনিয়ান) বলে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ১৩ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত চলমান ৫০তম অধিবেশনে উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়। মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ রেপোটিয়ার আইরিন খান চলতি বছরের ২০ এপ্রিল এ প্রতিবেদন জমা দেন।
জেনেভা থেকে পাঠানো মানবাধিকার কাউন্সিলের ২৪ জুনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা খুব বেশি কমে যাওয়ায় মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানা গেছে, মিথ্যা সংবাদ প্রতিরোধ, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক যে আইন রয়েছে, তার ১৯-এর ৩ ধারা বৈধতার তিন মুখী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ডিএসএ। এই আইনের সংজ্ঞা অস্পষ্ট এবং শাস্তি খুবই কঠোর। যাতে জাতীয় নিরাপত্তা, সাইবার জগতে অপরাধ, ভুল তথ্য ছড়ানো-সংক্রান্ত অপরাধগুলোতে তদন্ত সংস্থাগুলোকে অনুসন্ধান এবং সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা দিয়েছে। এটি ব্যবহার করে সাংবাদিকদের নির্বিচারে আটক, নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেছে, যা সাংবাদিকতায় ভীতির সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘের বিশেষ রেপোটিয়ার আইরিন খান এ আইনটি বাতিল চেয়েছেন।