বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ। আওয়ামী লীগের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হয় না দাবি করে তারা সিটি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার এ ঘোষণা দেয়।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে বাসদের কার্যালয়ে দলের জেলা সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী লিখিত বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, বিগত সিটি নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয় বরিশালে। সেই নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেয়ার পর তার ও তার পরিবারসহ দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি, হেনস্তা করেছে স্থানীয় ক্ষমতাসীনরা।
আসন্ন সিটি নির্বাচন লোক দেখানো, পাতানো ভোটের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করবে বলে দাবি করেন ডা. মনীষা। তাছাড়া দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের আগে কোন নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথাও জানান বাসদের এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড জনার্দ্দন দত্ত নান্টু, বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য মানিক হাওলাদার, দুলাল মল্লিক, মাফিয়া বেগম, শহিদুল ইসলাম, সন্তু মিত্র, গোলাম রসুল, বিজন শিকদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার কোন দৃষ্টান্ত বা সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারেনি। জনগণের ও এই নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা নেই বলেই সাম্প্রতিক সময়ের বেশিরভাগ নির্বাচনে ২৫ শতাংশের ওপর খুব কমই ভোট প্রয়োগ হয়েছে এবং ঢাকায় দুটি উপনির্বাচনে ১০ ও ১৪% ভোট পড়েছে। আওয়ামী লীগ তার মহাজোটভুক্ত দলগুলিকে নিয়ে এক ধরনের জন বিচ্ছিন্ন তামাশার নির্বাচন করছে। গত বছরের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দিনে দুপুরে ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, নতুন নির্বাচন কমিশন ও এ পর্যন্ত কোথাও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে পারেনি। ফলে বাসদ লোক দেখানো পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়ে এই কলুষিত নির্বাচনকে বৈধতা দিতে চায় না।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।