নৌ বন্দরের শ্রমিক হাফিজুর রহমান বলেন, সন্তান প্রসবের পর বর্তমানে মা–ছেলে উভয়েই সুস্থ আছেন। নদীবন্দরের শ্রমিক ও বসবাসকারী অন্যান্য ভাসমান পরিবারগুলো মা-ছেলের যত্ন নিচ্ছে। সবাই চাঁদা তুলে নবজাতক ও তার মায়ের জন্য কাপড়চোপড়, খাবারসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিচ্ছেন। নদীবন্দরের শ্রমিকেরা বলেন, মায়া বেগম নামে ভবঘুরে ওই নারী বেশ কয়েক বছর ধরে বরিশাল নদীবন্দরে বসবাস করে আসছেন। স্বামী পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে কাউকে দেখা যায়নি। তবে জাকারিয়া নামে আরও এক ছেলে আছে ওই নারীর। বাড়িঘরের ঠিকানাও সঠিকভাবে বলতে পারেন না তিনি। মাস কয়েক আগে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে নদীবন্দরে বসবাসকারী অন্যান্য ছিন্নমূল মানুষেরা তাঁর সেবাযত্ন করেন। সন্তান প্রসবের পর মায়া বেগমকে নদীবন্দরের একটি অস্থায়ী শেডে রাখা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে ধারণা অনেকের।