বরিশাল নগরীতে সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা : থানায় লিখিত অভিযোগ
প্রকাশ: ৯ এপ্রিল, ২০২৩, ৮:৫১ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল অফিস : নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ড নবগ্রাম রোডস্থ লাতু চৌধুরী সড়কের হাজী মোহাম্মদ আবদুল হাই ও মাহফুজুর রহমান কাবেল এর নির্মিত ৬ তলা বিশিষ্ট বাসভবনে গতকাল সকালে অনধিকার প্রবেশ করে সীমানা প্রাচীর ঘেরা পাকা বাউন্ডারি দেয়াল সন্ত্রাসীরা ভেঙে ফেলে। এসময় জমি দখলের চেষ্টা ককরে। থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় জহিরুল ইসলাম স্বপন, মোহাম্মদ আজাদ, রিয়াদ,মুরাদ,আদিল,সাইদ,রাতুলসহ
কয়েকজন সন্ত্রাসীরা রবিবার ভোর আনুমানিক ৫ টার দিকে অন্ধকারে ভুক্তভোগীর বাড়িতে আক্রমণ চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষ জহিরুল ইসলাম স্বপন ভুক্তভোগীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ মারধর এবং গুম ও খুনের হুমকি দেয়। একই সাথে তাদের বাসায় প্রবেশের মুল গেটের বাহির থেকে বন্ধ করে অস্ত্র ও লাঠিসোটাসহ পাহারা দিতে থাকে ।এক পর্যায়ে হামলার ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি আত্মরক্ষার দাবিতে গৃহবন্দী হয়ে জানালার পর্দা সরিয়ে সেই মুহূর্তের কিছু ভিডিও চিত্র ধারণ করার চেষ্টা চালালে সেখানে দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের বাধা-বিপত্তি। ভিডিও চিত্র ধারনাকালে ভুক্তভোগী পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের উপরে অতর্কিত ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ।এ সময় সমস্ত ঘটনা সিসি ক্যামেরার আওতায় ভিডিও ধারণের ভয়ে সন্ত্রাসীরা পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে সিসি ক্যামেরায় কাপরের চাদর দিয়ে ঘিরে রাখে। উক্ত সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষা পেতে পরপর চারবার ৯৯৯ কল দিলেও সারা পেয়েছে মাত্র একবার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ৩৫মিনিটের ব্যবধানে এসআই নুরুজ্জামান সহযোগী পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসতেই পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ চলে যাওয়ার মাত্র কিছুক্ষণের ব্যবধানে তারা পুনরায় আবার একই ভাবে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে তাদের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করে স্থান ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবার ও তাদের সদস্যরা কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভুক্তভোগী আলহাজ্ব আব্দুল হাই জানান উক্ত জমিতে আশিক আহমেদ বাদী হয়ে বরিশালর জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রট আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। এই অবস্থায় জমিতে অনধিকার প্রবেশ এবং ভাংচুর চালানো আদালতকে অবমানার সামিল বলে দাবি করেন।