বরিশাল কলেজিয়েট স্কুলের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২২, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বিশেষপ্রতিনিধি : বরিশাল কলেজিয়েট স্কুলের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে বহুমূখী কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মারধরের এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম সৈয়দ মাহেবি ইসলাম হিমেল। সে ওই স্কুলের মানবিক শাখার ১০ম শ্রেনীর ছাত্র। হিমেল অভিযোগ করে বলেন, সকালে স্কুল ড্রেসের সাথে নির্দিষ্ট জুতা না পড়ে আসায় গনিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান স্যার আমাকে মারধর করে৷ এরপর দুপুরে নামাজ শেষে স্কুলে প্রবেশের সময় কোথায় গিয়েছিলো না জানতে চেয়ে আরেক দফা মারধর করা হয়। এছাড়া স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন স্যার বিভিন্ন সময় মারধর সহ সব সময় হেয় প্রতিপন্ন করে। বেত দিয়ে পিটিয়ে আমার হাত কেটে ফেলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের ভয়ে তটস্থ থাকে পুরো স্কুল। সামান্য ঘটনায় তিনি শিক্ষার্থীদের মারধর ও হয়রানি করে। এছাড়া কয়েক দিন আগে এক শিক্ষার্থীকে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেছিলো। এছাড়া শিক্ষক ইসমাইল তুচ্ছ বিষয় অথবা অহেতুক ভাবে শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করে থাকেন। আহত ছাত্র হিমেলের মা মিলি আক্তার মুক্তা ও বাবা সৈয়দ মহাসিন হিমু এমন মারধরের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে। এমন ঘটনা যেন আর কোন শিক্ষার্থীদের সাথে না ঘটে সে কারনে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ বিচারের দাবি করেন তারা। এদিকে মারধরের বিষয়ে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলের অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন ও গনিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান। এসময় তারা দাবি করেন, স্কুলটিতে ছেলে ও মেয়ে পড়াশোনা করায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটু বকাঝকা করা হয়। এছাড়া তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে হিমেল সহ কেন সব শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে সে বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান তারা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন বেতের ব্যবহার স্কুলে করা হয়েছে সেটিও তদন্ত করা হবে।