খোকন আহম্মেদ হীরা,
বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সিটি কর্পোরেশনের দুটি পরিষদ দায়িত্ব পালন করলেও নিরাপদ ও কম খরচে যাতায়াতের মাধ্যম বরিশাল সিটি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত থ্রি-হুইলার যানবাহনের দখলে চলে গেছে পুরো নগরী।
ব্যাটারিচালিত রিক্সা আর অটোরিক্সার কারণে তীব্র যানজটের সঙ্গে বাড়তি ভাড়া গুনে হয়রান নগরবাসী। তাই ফের সিটি সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন সচেতন নগরবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে রূপাতলী পর্যন্ত ২০০৩ সালে বিআরটিসি দ্বিতল বাস সার্ভিস চালু হয়েছিল। যাত্রী থাকা সত্ত্বেও দুই বছর চলার পর অজানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
২০০৯ সালে তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরণের হাত ধরে সিটি বাস সার্ভিস চালু হয়। নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে বরিশাল নদী বন্দর, নদী বন্দর থেকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এবং সেখান থেকে রূপাতলী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক ধরে বাসগুলো চলাচল করত। তবে অজানা কারণে সেই সার্ভিসও ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্র মতে, এরপর ধীরে ধীরে গোটা নগরী ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও হলুদ অটোরিক্সায় ভরে যায়। যদিও নগরীতে এক সময় আড়াই হাজারেরও বেশি হলুদ অটোরিক্সার লাইসেন্স দিয়েছিল সিটি কর্পোরেশন। তবে কয়েক বছর পরে সরকারী নির্দেশনার কারণে বন্ধ রাখা হয় নতুন লাইসেন্স দেয়া ও পুরাতন লাইসেন্সের নবায়ন। সেই সুযোগে বরিশালের রাস্তা দখল করে নেয় কয়েক হাজার ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও হলুদ অটোরিক্সা। এখন অবধি এসব যানবাহন লাইসেন্স না পেলেও বিনা কাগজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরীর প্রতিটি অলিগলি। দিনে দিনে এর সংখ্যা বাড়তে থাকায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বেঁধে যাচ্ছে তীব্র যানজট।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নগরবাসী বলছেন, সিটি সার্ভিস থাকলে অন্য পরিবহনের ভাড়া কমে যায়। যেখানে এখন গ্যাস ও ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার জাতীয় যানবাহনে নদী বন্দর থেকে রূপাতলী পর্যন্ত মাত্র কয়েক কিলোমিটার পথ যেতে গুনতে হয় ১৫/২০ টাকা। একইভাবে রূপাতলী থেকে নথুল্লাবাদ ও বিবির পুকুরপাড় এবং বিবির পুকুরপাড় থেকে আবার নথুল্লাবাদ ও চৌমাথায় যেতেও গুনতে হয় একই রকমের ভাড়া। যে ভাড়া নিয়ে প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে বাগ্বিতÐা হচ্ছে যাত্রীদের। এমনকি মারামারির ঘটনাও ঘটছে।