বরিশালে সার্জেন্টের মারধরে পুলিশের পুত্র বেহুশ অবশেষে হাসপাতাল
প্রকাশ: ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:২৩ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ নোমানী : বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট সহিদুলের হামলায় পুলিশ পুত্র ও গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুল ইসলামসহ আহত হয়েছে দুজন। এর মধ্য সাইদুল ইসলাম বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।অপরজন বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ছাত্র মারুফ মোল্লা চোখের আঘাতের কারনে চক্ষু ডাক্তার থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। মারুফ মোল্লার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধরের ভিডিও অপসারন করেছে সার্জেন্ট শহিদুল।ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন। ১ জানুয়ারী বিকেল চারটার সময় বরিশাল নগরীর আমতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বিভাগে কর্মরত মিজানুর রহমানের পুত্র সাইদুলের ভাই শফিক জানান,আমরা খবর পেয়ে আমতলা ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে বেহুশ অবস্থায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। বর্তমানে আমার ভাই সাইদুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সাইদুলের সাথে থাকা মারুফ মোল্লাচোখের ডাক্তার দেখিয়েছেন। তিনি জানান,১ জানুয়ারী আমার ভাই সাইদুল ও খালাত ভাই মারুফ মোল্লা বিকাল চারটার দিকে ঝালকাঠি থেকে মটরসাইকেল যোগে বরিশাল আসার পথে আমতলা মোড়ে সার্জেন্ট শহিদুল সিগন্যাল দেয়।তিনি তাদের কাছে গাড়ির কাগজপত্র ও হেলমেট না থাকার কারন জিজ্ঞেস করলে সাথে না থাকার জন্য দুঃখ প্রকাশ প্রকাশ করে তার পিতা মিজানুর রহমান পুলিশে কর্মরত এ কথা বলতেই সার্জেন্ট শহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন ।অশ্লীল গালিগালাজের প্রতিবাদ করা মাত্রই সাইদুলকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করেন সার্জেন্ট শহিদুল। মারধরের এক পর্যায়ে বেহুশ হয়ে যান সাইদুল। এসময় সাইদুলের সাথে থাকা মারুফ মোল্লা ভিডিও ধারন করলে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলেট করে দেন ।এসময় সার্জেন্ট শহিদুলের নকের আছর লেগে যায় তার চোখে। সাইদুল ইসলামের বেহুশের ঘটনা শুনে তার পরিবারের লোকজন এসে পুলিশ বক্স থেকে উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করান। ভর্তির কাগজে ফিজিকাল এ্যাসল্ট লেখা রয়েছে।
এ ঘটনায় বরিশাল ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মোঃ ফারুক হোসেনকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ২ জানুয়ারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাইদুল ইসলাম ও তার পরিবারের সাথে কথা বলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মোঃ ফারুক হোসেন। এ সময় টি আই আরিফ ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন ঘটনা জেনে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মোঃ ফারুক হোসেনকে ঘটনা তদন্তের জন্য দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি।এ ব্যাপারে টি আই আরিফ বলেন, ঘটনা সত্য হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ ব্যাপারে সার্জেন্ট শহিদুল বলেন, ঘটনাটি সম্পুর্ন মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।