স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে দুদিন আগেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা পৌঁছে গেছেন। আর তাই সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসা নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আহব বিরাজ করছে।
নেতাকর্মীরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যানজুড়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই গান,গল্প ও আড্ডায় মেতে ওঠেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিতে বরিশালের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা পায়ে হেঁটে কিংবা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসা-যাওয়া করছেন।
মাঠ ও মঞ্চ প্রস্তুত করার কাজও দেখভাল করছেন দায়িত্বে থাকা নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে উদ্যানের বিভিন্নস্থানে খোলা আকাশের নিচে চলছে খাবার রান্নার আয়োজন।
যদিও এসব কিছুর মাঝে মাঠে বসানো প্রজেক্টরকে ঘিরে ছিল নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি। যেখানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডসহ দলীয় কার্যক্রমের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর মাইনকা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন সিকদার বলেন, অনেক কষ্ট সহ্য করে সমাবেশ স্থলে এসেছি। সরকার সব বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা ট্রলার ভাড়া করে কয়েক হাজার মানুষ এসেছি। এত কষ্ট করছি শুধু ভোটাধিকার ফেরত পাওয়ার জন্য। ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারি না।
গৌরনদী উপজেলা থেকে আসা যুবদল কর্মী আরাফাত বলেন, আওয়ামী লীগের অত্যাচারে গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার মানুষ অতিষ্ঠ। আমরা চাই এই অত্যাচার থেকে মুক্তি। তাতে যত কষ্ট দরকার হয় করবো।
পাথরঘাটার বিএনপি কর্মী সাইদুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশে আমাদের সমাবেশস্থলটি বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে, লাভ হয়নি। আমরা চলে এসেছি শুধু ভোটাধিকার ফেরত পেতে চাই। বিনাভোটের জনপ্রতিনিধি আর দেখতে চাই না।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। সময়ের ব্যাপারমাত্র। যেকোনো সময় এই সরকারের পতন ঘটবে। বাংলাদেশের জনগণ হাসিনা সরকারের পতন চায়, নিজের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন মানুষ দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে দেখছে। এজন্যই সমাবেশের দুইদিন আগেই সমাবেশ স্থল পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, মাঠে মাঠে নেতাকর্মীরা কষ্ট করে ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ সফল করতে অপেক্ষা করছেন। এতে এটাই প্রমাণ হয় দেশের মানুষ আর এই সরকারকে দেখতে চায় না।