বরিশালে মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন চরমোনাই পীরের ছোট ভাই
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল, ২০২৩, ৯:৫৪ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সর্বশেষ রংপুর সিটি নির্বাচনে প্রায় ৫০ হাজার ভোট পেয়ে আলোচনায় আসে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নেতৃত্বাধীন দলটি। এবার পাঁচ সিটিতেও চমক দেখাতে চায়।
অন্তত গাজীপুর ও বরিশালে জয়ের টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তাদের নেতাকর্মীরা। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে বিএনপির ভোটও তারা পাবেন বলে মনে করছেন। এই নির্বাচনকে তারা ইলেকশন কমিশনের (ইসি) পরীক্ষা হিসাবে দেখছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তা সিটির ভোট দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন। দলটির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন এসব তথ্য।
তিন সিটিতে ইতোমধ্যে মেয়রপ্রার্থী ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন। তারা হলেন-গাজীপুরে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সিলেটে বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান এবং খুলনা সিটিতে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও মহানগরীর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
এবার বরিশাল সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলটি দুজনকে বিবেচনা করছে। তারা হলেন দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম এবং বরিশাল জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের। তারা দুজনই বর্তমান পীরের আপন ভাই এবং প্রয়াত চরমোনাই পীরের ছেলে। তাদের মধ্যে আবুল খায়ের চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান। মেয়র নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে তাকে দল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। মনোনয়ন দেওয়া হয় তার আরেক ছোট ভাই সৈয়দ মুহাম্মাদ জিয়াউল করিমকে। তিনি বর্তমানে ওই ইউপির চেয়ারম্যান। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ তাকে মেয়র প্রার্থী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার কথা।
জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মানুষ ধারণার চেয়েও চমক দেখবে। এমনকি অধিকাংশ সিটি নির্বাচনে তাদের দলীয় মেয়র প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন। সরকারের উচিত হবে নির্বাচন সুষ্ঠু করা এবং পেশিশক্তির ব্যবহার না করা।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান (গাজীপুর সিটির মেয়রপ্রার্থী) বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা-এটা আমাদের আগের সিদ্ধান্ত। এর আগে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আমরা অংশগ্রহণ করেছি। সেখানে দেখেছি, দেশের মানুষ ভোট দিতে পারছে না। সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তা প্রমাণ করছি, প্রতিবাদ করছি। নির্বাচনের অনিয়মগুলো চিহ্নিত করছি। আমরা এখনো জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিইনি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে আমরা কেন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেব?’