নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার উত্তর আগরপুর গ্রামে ৭০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচার কথা বলে গত সোমবার রাতে ওই বৃদ্ধার ঘরে আশ্রয় নিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক মাদকাসক্ত জাকির সিকদারকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ধর্ষিতা বৃদ্ধার ডাক্তারি পরীক্ষা শের-ই বাংলা মেডিকেলে সম্পন্ন হয়েছে।বরিশাল আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন করা হয়েছে ওই বৃদ্ধার।অভিযুক্ত ধর্ষক জাকির সিকদার একই গ্রামের খালেক সিকদারের ছেলে। ধর্ষিতা বৃদ্ধা ওই গ্রামের বাসিন্দা এবং ৫ ছেলে-মেয়ের জননী। তার ছেলে-মেয়েরা সবাই ঢাকা এবং নারায়নগঞ্জে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন।তিনি একা নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। তার ঘরের পাশে মেয়ের একটি পরিত্যক্ত ঘরে স্থানীয় বখাটেরা প্রতিনিয়ত জুয়া খেলে এবং মাদক সেবন করে। এতে অতিস্ট হয়ে সম্প্রতি ওই বৃদ্ধা বখাটেদের ঝাড়ু নিয়ে তাড়া করেন এবং ওই ঘরে আড্ডা দিতে বারণ করে।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, ঝাড়ু নিয়ে তারা করার প্রতিশোধ নিতে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে বখাটে মাদকাসক্ত জাকির ওই বৃদ্ধার ঘরের সামনে গিয়ে তাকে চাচি সন্মোধন করে আগের ঘটনার জন্য ক্ষমা চায়। এ সময় পুলিশ তাকে তাড়া করছে জানিয়ে রাতে তার ঘরে একটু আশ্রয় দেয়ার অনুরোধ করে।জাকিরের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে ওই রাতে তাকে ঘরের একটি কক্ষে তাকে থাকতে দেন ওই বৃদ্ধা। রাত ২টার দিকে বখাটে জাকির পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধার গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এতে বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়লে পালিয়ে যায় জাকির। পরে বৃদ্ধার ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা ওই রাতেই তাকে উদ্ধার করে আগরপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।এ খবর পেয়ে থানা পুলিশের ৫টি দল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালান। পরদিন মঙ্গলবার রাতে পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের নলচিড়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক জাকির সিকদারকে পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধার এক ছেলে বাদী হয়ে জাকিরের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার জাকিরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। এছাড়া শের-ই বাংলা মেডিকেলে গতকাল বৃদ্ধার ডাক্তারী পরীক্ষা এবং আদালতে তার ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন করা হয় বলে জানিয়েছেন বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান।