বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের জন্য নির্ধারণ হওয়া বঙ্গবন্ধু উদ্যানের একাংশে মঞ্চ নির্মানের কাজ চলছে। পাশাপাশি সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার রাত ১১টার দিকে সমাবেশস্থলে বিএনপিনেতাকর্মীদের অবস্থান করেতে দেখা গেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে কোনো লাভ হবে না, তাদের নেতাকর্মীরা এরই মধ্যে নগরীতে অবস্থান নিয়েছে। এদিকে বরিশাল নগরীজুড়ে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের শো ডাউনের কারণে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে বরিশাল।
বুধবার বিকাল থেকেই সমাবেশস্থলে বিএনপির মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। বিএনপি নেতারা উপস্থিত থেকে এসব কাজ দেখভাল করছেন। পাশাপাশি দফায় দফায় সমাবেশস্থলেই করা হচ্ছে প্রস্তুতি সভা।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, গণসমাবেশের দিন যত ঘনিয়ে আসছে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন বাড়ছে। এবার বুকে গুলি করলেও আমাদের নেতাকর্মীরা দাবি আদায় না করে আন্দোলন থেকে সরে আসবে না। তাই যতই পুলিশী অভিযানের নামে আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হোক না কেন আমাদের নেতাকর্মীরা পিছু হটবে না।
কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী সোহেল বলেন, বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কোনো ভাবেই আটকে রাখতে পারবে না কেউ। হোটেলে হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতংক ছড়াতে। বাস বন্ধ করা হয়েছে, থ্রি হুইলার বন্ধ করা হয়েছে, সমাবেশের আগের দিন থেকে বন্ধ থাকবে লঞ্চও। আমাদের নেতাকর্মীরা দরকার হলে কলা গাছের ভেলায় ভেসে আসবে। ইতিমধ্যে নগরীতে অবস্থান নিয়েছে আমাদের নেতাকর্মীরা। সমাবেশস্থলে যে করেই হোক তারা আসবে, সমাবেশ সফল হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, শো ডাউন করে বরিশালে আতংকের সৃষ্টি করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। তারা বেপরোয়া হয়ে গেছে বিএনপির জনসমর্থন দেখে। আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে থাকবে যদি হোটেলে থাকতে দেওয়া না হয়। এরমধ্যে অনেকেই অবস্থান নিয়েছে সমাবেশস্থল বেলস পার্কে (বঙ্গবন্ধু উদ্যান)।
বরিশালে বিএনপির সমাবেশস্থলে অবস্থান নেওয়া কর্মীরা জানান, গনতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে কোনো আপোষ করবো না। সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, তাই আগে থেকেই নগরীতে এসে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছি। এখানেই থাকবো।
বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, সমাবেশস্থলে আসার জন্য পথে পথে বাধা সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। কোনো বাধা আমাদের নেতাকর্মীরা মানবে না। লক্ষ লক্ষ মানুষ সমাবেশস্থলে জমায়েত হবে এই স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে।
এদিকে বরিশাল নগরীতে হঠাৎ শো ডাউনের বিষয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক বলেন, আমাদের নগরী শান্তির নগরী। এই নগরীতে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে আমরা সহ্য করবো না। ৫ নভেম্বর খালেদা জিয়ার সন্ত্রাসী বাহিনী সমাবেশ করবে। তারা বিভিন্ন জায়গায় মানুষ ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করছে। এতে যেন কোনো ধরণের সমস্যা না হয়, সেই জন্যই আমরা নগরীতে তদারকি করছি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা নিয়মিত বিষয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা থাকবে হোটেলে, সেটা কোনো সমস্যা নয়। আমরা অভিযান চালিয়েছে কোনো চোর, বাটপার বা ছিনতাইকারী হোটেলে আছে কিনা সেই খোজ নিতে।