বরিশালে প্রেমিকাকে ভিডিওকলে রেখে ড্রেসিংরুমে ফুটবলারের আত্মহত্যা
প্রকাশ: ৮ মে, ২০২৩, ১২:১২ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বরিশালের শহিদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের নির্মিতব্য ড্রেসিংরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে সোহেল জমাদ্দার (২৩) নামে এক ফুটবলারের।
শনিবার দিবাগত গভীর রাতে পরকীয়া প্রেমিকাকে প্রথমে আত্মহত্যার সরঞ্জামাদির ছবি পাঠিয়ে ও পরে ভিডিওকলে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ এবং ফুটবলারের বোন জানিয়েছেন।
নিহত সোহেল জমাদ্দার ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রায়াপুর বটতলা এলাকার হাফিজ জমাদ্দারের ছেলে। সোহেল ঢাকার সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের অনূর্ধ্ব ১৭ দলের গোলরক্ষক ছিলেন। আট মাস বয়সি ছেলেসন্তানের জনক সোহেল।
সহ-খেলোয়াড় মো. রায়হান বলেন, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের অনূর্ধ্ব ১৭ দলের গোলরক্ষক হিসেবে দুই বছর খেলেছেন সোহেল। বর্তমানে বরিশালের বিভিন্ন দলে খেলেন। আউটার স্টেডিয়ামের জন্য নির্মিতব্য ড্রেসিংরুমের বাথরুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তার বোন শান্তা জানান, সোহেলের বিয়ের আগে বরিশাল নগরীর একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম ছিল। তাদের সেই সম্পর্ক টেকেনি। পরে ভাইকে অন্যত্র বিয়ে করানো হয়। বর্তমানে আট মাস বয়সি ছেলের জনক সোহেল।
শান্তা জানান, সবার অজান্তে সেই মেয়ের সঙ্গে আবারও সম্পর্কে জড়িয়েছে ভাই সোহেল। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। কোনোভাবে দুজনকে ফেরানো যায়নি।
শান্তা বলেন, শনিবার ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ হয়। সে সন্তানকে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে গেছে। রোববার সোহেলের খেলা ছিল। তাই শনিবার স্টেডিয়ামে আসে। সন্ধ্যার পর তার সহ-খেলোয়াড়রা সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তিনিও যোগাযোগের চেষ্টা করে পাননি।
পরে সোহেলের প্রেমিকা জানিয়েছেন, সোহেল তার ইমোতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে জানিয়ে রশি ও একটি মইয়ের ছবি পাঠিয়েছে। রাতে ভিডিওকলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শান্তা জানান, বিষয়টি জানার পর সোহেলের ইমো নম্বরে কল দিয়েছেন। কিন্তু কেউ রিসিভ করেনি। সকালে এসে তার লাশ পেয়েছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রশি দিয়ে ঝোলার পর রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে গেছে। এতে মাথা ফেটে গেছে।
এসআই শহীদুল আরও বলেন, ভিডিওকলে রেখে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার আগে পাঠানো ছবিও পাওয়া গেছে। মোবাইল আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আপাতত অপমৃত্যুর মামলা হবে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।