শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে জ্বালানি তেলে দামবৃদ্ধির খবরে বরিশালে রাত ১০টার পর থেকে তেলের পাম্প বন্ধের অভিযোগ উঠেছে।
মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন আরোহী জ্বালানি তেলের ক্রেতারা জানান, জেলার সুরভী তেল পাম্পসহ সবগুলো পাম্পে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ১১টার দিকে তেল বিক্রি চালু করে ফের সাড়ে ১১টার দিকে বিক্রি বন্ধ করে দেয় তারা।
মিজানুর রহমান নামের এক ক্রেতার অভিযোগ, কাশিপুরস্হ সুরভী তেল পাম্পে রাত সাড়ে ১০টায় এবকার এবং রাত সাড়ে ১১টায় আরেকবার তেল বিক্রি বন্ধ রাখা হয়। তারা রাত ১২টার পর বর্ধিত দামে তেল বিক্রি শুরু করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সুরভী পাম্পের পরিচালক রেজিন উল কবীর বলেন, সাড়ে ১০টার পর পাম্প বন্ধ করা হয়নি। তবে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধির খবরে শত শত মোটরসাইকেল ও যানবাহন মালিক তেলের জন্য পাম্পে আসলে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। সবাই পুরনো দামে বাড়তি তেল নিতে চাইলে আমরা দিতে না পারায় ক্রেতারা হৈ চৈ শুরু করেন। তখন কিছু সময় বিক্রি বন্ধ ছিল।
তিনি বলেন, রাত ১২টা থেকে নতুন দামে জ্বালানি তেল বিক্রি শুরু করছেন তারা।
এদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির খবরে বরিশালের ফিলিং স্টেশনগুলোতে রাত সাড়ে ১০টা থকে প্রচুর যানবাহনের ভিড় হয়। নগরীর নতুন বাজারের ইসরাইল তালুকদার ফিলিং স্টেশন ও ভূঁইঞা ফিলিং স্টেশনে যানবাহনের ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয় রাত সাড়ে ১০টার পর। এতে বিএম কলেজ রোড এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে ভূঁইঞা ফিলিং স্টেশন তেল বিক্রি বন্ধ করে দিলে মোটরসাইকেল চালকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তেল বিক্রি শুরু করে কতৃপক্ষ। এছাড়া রুপাতলীর ডোস্ট ফিলিং স্টেশনে যানবাহনের চাপের কারণে বরিশাল কুয়াকাটা সড়কেও যানজট হয়।