বরিশাল নগরী থেকে এক শিশু ও কিশোরীকে ভারতে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে দুজনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। সোমবার জেলা মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট কায়উম খান কায়ছার বলেন, দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। তাই দুইজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিতরা রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। রায়ে দুই দণ্ডিত আসামির কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার টাকা ভুক্তভোগীদের দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের।
বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ তুহিন মোল্লা মামলার বরাতে জানান, নগরীর রসুলপুর কলোনির বাসিন্দা বাদীর ১৫ বছরের মেয়ে ও প্রতিবেশীর ১১ বছর বয়সী মেয়েকে ২০১৮ সালের ৫ মে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় দণ্ডপ্রাপ্তরা। পরে দুইজনকে ভারতে পাচারের চেষ্টাকালে সাতক্ষীরার গোয়ালখালী বিজিবির সদস্যরা ১১ বছর বয়সি মেয়েকে উদ্ধার করে। কিন্তু ভারতের তামিলনাড়ুতে ১৫ বছর বয়সি মেয়েকে পাচার করে দণ্ডপ্রাপ্তরা।
এ ঘটনায় ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৬ মে আটজন নামধারী ও অজ্ঞাত দুইজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার ৬ মাস পর ১৫ বছর বয়সী কিশোরী পালিয়ে খুলনা বিজিবি ক্যাম্পে এসে আশ্রয় নেয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দণ্ডিত দুইজনসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা আদালতে অভিযোগ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম মৃধা চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বিচারক আটজনের সাক্ষ্য নিয়ে এ রায় দিয়েছেন।