এস এন পলাশ।।
বরিশাল নগর ও জেলা উপজেলা গুলোতে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। বরিশাল নগরীতে এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন নামে গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং এর কোরাম। দ্রুত এদের লাগাম টানা নাহলে ঘটবে অপরাধ মূলক বড় বড় ঘটনা।
দলীয় ছত্রছায়ায় কিংবা নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কিশোর গ্যাং গুলো নগরীতে গড়ে তুলছে অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড। এদের বেশিরভাগ স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী যাদের বয়স ষোলো থেকে চব্বিশ পঁচিশ বছর।
কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের দেখা যায় নগরী জুড়ে মটরসাইকেলের মহড়া। মেয়েদের ইভটিজিং করা, করছে চুরি ছিনতাইও। ঘুরতে যাওয়া মানুষদের ছবি তুলে ব্লাকমেইল করা। এখানেই ক্ষান্ত নয় তারা। বরিশাল নগরীর অলিগলিতে মাদকের বিষ ছড়াচ্ছে এই কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। বিভিন্ন সময়ে এদের অনেকে গ্রেফতার হলেও জামিনে বের হয়ে আবারও করতে দেখা যায় একই কর্মকান্ড।
গত (৩০ আগস্ট) গড়িয়ারপার এলাকায় কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ছিনতাই করলে খবর পেয়ে বরিশাল বিমান বন্দর থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করে।
থানার ওসি তদন্ত আমান উল্লাহ আল বারী বলেন, গত মঙ্গলবার কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ছিনতাই করলে তাতক্ষনিক তাদের তিনজনকে আটক করি। আটককৃতরা হলেন, কিশোর গ্যাং এর সদস্য নুরুল হাজি(১৭) মো: মারুফ(১৬) অগ্রজিত(১৭)। এঘটনায় এখনো একজন পলাতক আছে বলেও জানান তিনি।
বিমানবন্দর থানার ওসি তদন্ত আরো বলেন, কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সবসময় চলমান আছে কেউ অপরাধ করে পার পাবেনা।
তবে সরজমিনে সূত্রে বলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ খুলে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা নানাবিধ অপরাধ মূুলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি এই গ্রুপগুলো মাদকের সিন্ডিকেট চালিয়ে যাচ্ছে হরহামেশা।
পর্যটক স্থান গুলোতে মেয়েদের ছবি তোলা ভিডিও করাসহ নানান ভাবে উত্যক্ত করছে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত লোকমান হোসেন বলেন, স্কুল কলেজ শুরু ও ছুটির সময়ে আমাদের টিমের নিয়িমিত টহল চলমান আছে। লোকমান হোসেন আরো বলেন, এছাড়াও বিবিকিউ নামের একটি পেইজের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ মূলক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতার করতেও কাজ চলছে।
একাধিক স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মা বাবার সাথে কথা বললে তারা জানায় প্রশাসন যদি সন্ধ্যার পরে এইসকল ছেলেদের রাস্তাঘাটে পায় তাদের আটক করে গার্ডিয়ান খবর দিলে অনেকটা কমবে কিশোর গ্যাংদের আড্ডা। এছাড়াও দিনেরবেলা প্রশাসনের নজরদারী দরকার বলে মনেকরে তারা।
এবিষয় কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ,আর আব্দুর রহমান মুকুল (পিপিএম সেবা) বলেন আমাদের প্রতিদিন টহল পুলিশ কোথাও সংঘবদ্ধ কিশোর দেখলে জিঞ্জাসাবাদে সন্ধেহ হালে তাদের গার্ডিয়ান খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেই। এছাড়াও আমাদের কমিউনিটি পুলিশের বিট পুলিশিং মিটিং এ অভিযোগ পেলেও সাথেসাথে তার ব্যবস্থা নেয়া হয়।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বরিশাল নগরীর বেলসপার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, ত্রিশ গোডাউন, চৌমাথা লেকপাড়, পলাশপুর বৌবাজার, দপ্তরখানা, কাটপট্টি, কাউনিয়া, কাশিপুর এলাকাজুড়ে এদের বেশিরভাগ সদস্যদের আনাগোনা। এসকল এলাকা গুলোতে প্রশাসনের নজরদারী বাড়ালে কমবে অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড।
এবিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম (বিপিএম বার) বলেন, আমরা অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি এছাড়াও আমাদের মনিটরিং সেল কাজ করছে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় অপরাধ করে পার পাবার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।