বরিশালে অংশগ্রহনকারীদের ক্ষোভ হতাশার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা সম্পন্ন
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর, ২০২২, ৭:০৯ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার : উদ্ভাবনী উদ্যোগকে স্বাগত না জানিয়ে অংশগ্রহনকারীদের ক্ষোভ ও হাতাশার মধ্য দিয়ে বরিশালে সম্পন্ন হলো দু দিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা । বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ২০ নভেম্বর মাগরিবের শুরুতেই সমাপনীর মাধ্যমে ভেঙ্গে যায় মেলা। মেলায় ৪টি প্যাভিলিয়নে ৫০ টি স্টল থাকলেও অংশগ্রহনকারীরা ক্ষোভ ও হতাশা নিয়ে চলে যায়। তাদের অভিযোগ বিগত দিনে অংশগ্রহনকারীদের একটি ক্রেস্ট ও সনদ দেয়া হতো। এ বছর স্টল প্রতি তিন হাজার টাকা পরিশোধ করলেও এ বছর অংশ গ্রহনকারীদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়নি।
প্রযুক্তি বান্ধব নানা উদ্ভাবন ও সেবা তৈরির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশর কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ২০৩০ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশকে টেকসই লক্স্যমাত্রা অর্জনে মডেল এসডিজি রাষ্ট্র এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় এ সব মেলায়। তবে বরিশালের ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় ঢাক ঢোল ছাড়া আর কিছুই হয়নি এমনটাই অভিযোগ অংশগ্রহনকারীদের।
বরিশালে সাদামাটা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৯ নভেম্বর শুরু হয় দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা। ‘উদ্ভাবনী উল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ’ – এই স্লোগান নিয়ে শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এ মেলা শুরু হয়ে ২০ নভেম্বর মাগরিবের মধ্য এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।
মেলায় অংশ নেয়া একাধিক অংশ গ্রহনকারীরা জানিয়েছেন, আমরা তিন হাজার টাকা দিয়ে স্টল নিয়েছি। প্রতিটি স্টলে ৫ থেকে ৬ জন লোকজন ছিলো। কমপক্ষে একেকটি স্টলে দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া পরিবহন খরচ। তারা বলেন বিগত দিনে অংশ গ্রহনকারীদের মাঝে একটি সম্মাননা ক্রেস্ট ও একটি সনদ দেয়া হতো। এতেই অংশ গ্রহনকারীরা খুশি হতো। এ বছর কোন সম্মননা না দেয়ায় তারা ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দারের নিকট কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। তাই তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।