বরিশালের সকল মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবো : খোকন সেরনিয়াবাত
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল, ২০২৩, ৩:১৩ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। শনিবার দুপুরে দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে নাম ঘোষনা করেন সাধারন সম্পাদক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট বোন আমেনা বেগমের ছোট ছেলে খোকন সেরনিয়াবাতকে প্রার্থীতার খবর শুনে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আনন্দ মিছিল বের করা হয়েছে। তার সমর্থনে কাজ করার কথা জানিয়েছেন মনোনয়ন চাওয়া অন্যান্য প্রার্থীরাও। বর্তমান কাউন্সিলরসহ নেতা কর্মীরা নগরীতে মিষ্টি বিতরন করেছে।
দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আবেগআপ্লুত খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরিশালবাসীর মুল্যায়ন করে যে সিদ্বান্ত দিয়েছেন আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও রক্ষা করবো।
তিনি বলেন, ১৫ আগষ্টে আমার বেঁচে থাকার কথা ছিলো না। আমি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে আছি। আমার এক পাশে ছোট ভাই, আরেক পাশে ছোট বোন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। মা গুলিবিদ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছেন। বাবা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত মারা গেছে। আমার বাবা বরিশালের একজন আদর্শ ও সৎ রাজনীতিবিদ ছিলেন। আমি সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বরিশালের সকলের সুখ-দু.খে পাশে থাকবো।
তার মনোনয়ন ঘোষনার পর নগরীর মোড়ে মোড়ে আনন্দ মিছিল বের করা হয়।
দুপুর ২টার পর নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব ও সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র কর্মপরিষদের ভিপি মঈন তুষারের নেতৃত্বে বৈদ্যপাড়া এলাকা থেকে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
নগরীর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়কে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছে নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার। সন্ধ্যায় তার নেতৃত্বে মিষ্টি বিতরন করা হয়েছে।
দুপুরে নগরীর পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অব. জাহিদ ফারুক শামীম এমপির অনুসারীরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় প্রাঙ্গনে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কর্মী ও সমর্থকরা খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্বান্ত দিয়েছেন তা আমরা মেনে নিয়েছি। তার সিদ্ধান্তের উপর আমরা নির্ভরশীল। দলীয় সভানেত্রী শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সিদ্বান্ত নিয়েছেন। আমরা আওয়ামী লীগ করি, তার নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের। আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করবো।
দলীয় মনোনয়ন চাওয়া মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিমউদ্দিন বলেন, দলীয় প্রধান বরিশালের সাধারন মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তার এ সিদ্বান্তকে অভিনন্দন জানাই। তার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবো।
দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়েও মনখারাপ হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন মহানগর যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেখানে প্রার্থী দিয়েছেন সেখানে তার বিপক্ষে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি তার পক্ষে কাজ করবো।
পঞ্চমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চাওয়া মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মীর আমিনউদ্দিন মোহন বলেন, স্বাভাবিকভাবে একটু খারাপ লাগা ও ক্ষোভ রয়েছে। তবে খোকন সেরনিয়াবাত একজন ভদ্র মানুষ। সাধারন মানুষের কথা শোনেন। তার সাথে আওয়ামী লীগকে আবার গন মানুষের দলে পরিনত করবো।
এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে ফরম সংগ্রহ করেছিলেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত), মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বরিশাল বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঈন তুষার, বরিশাল শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দিন মোহন ও বর্তমান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ।