গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৯টি নদীর পানি প্রতিদিন ২ বার বিপদসীমা অতিক্রম করছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ ৯টি নদীর ৯টি স্থানে পানির উচ্চতা পরিমাপ করে এই তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে নিম্মচাপের প্রভাবে বরিশালে গত শনিবার রাত থেকে বিরামহীন বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী আরও ২দিন এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। অপরদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবশেষ মিটার গেজ রিডিং অনুযায়ী, নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ০.০২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। একইভাবে তেতুলিয়া নদীর ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ০.০২ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখান পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি ০.৫৫ সেন্টিমিটার, তজুমুদ্দিনে ০.৬৭ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি ০.০২ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি ০.০৯ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি ০.৫৩ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর পয়েন্টে বলেশ্বর নদীর পানি ০.০৭ সেন্টিমিটার এবং পিরোজপুরের উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি ০.১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চলে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। আবার ভাটির সময় পানি নেমে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত বিভাগের কোথাও বেড়িবাঁধে সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার। নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশালে গত শনিবার রাত থেকে কখনও গুঁড়িগুঁড়ি আবার কখনও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ গত ২৪ ঘণ্টায় ৭.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী ২ দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। এ সময় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট উচ্চতায় জোয়ার হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক প্রনব কুমার রায়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে সমূদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। তবে সব ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. কবির হোসেন।