বরিশালের মাহমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষিকা স্ট্যান্ড-রিলিজ !
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪, ১০:২৯ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল অফিস : ভূয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট রেখে কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রধান শিক্ষিকা বেড রেস্টে না থেকে বদলী ঠেকাতে ঢাকাতে তদবীর করে বেড়াচ্ছেন । বরিশাল সদর উপজেলার ৮৩নং মাহমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা খাতুনকে দ্বিতীয় বারেরমতো প্রশাসনিক বদলী (স্টান্ডরিলিজ) করা হয়েছে গত ৪জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে খবর শুনে এলাকার আপামর জনসাধারণের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা গিয়েছে ।
এদিকে অত্যন্ত ধুরন্ধর মাহমুদাখাতুন ৮জানুয়ারি একটি ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেটে সাত দিনের বেডরেস্ট দেখিয়ে বদলী ঠেকাতে তদবীরের জন্য ঢাকাতে অবস্থান করছেন।ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেটের সত্যতা চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন নিজেই স্বীকার করেছেন। দেলোয়ার একজন অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক যাকে ফোন করলে তিনি বলেন, শিক্ষিকার অনুরোধে একটি সনদ দেয়া হলেও তিনি জানতেন না যে এই মহিলা এই সনদকে ভুলভাবে ব্যবহার করবেন। তিনি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এইসনদটির কোনো কার্যকারিতা নেই বলে ঘোষণা দেন। এমনকী পরবর্তীতে এইশিক্ষককে তিনি আর কখনও প্রশ্রয় দিবেননা এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চিকিৎসক দেলোয়ার।
অন্যদিকে, মাহমুদা খাতুনের গতিবিধিনিয়ে জনমনে নানা রকম প্রশ্ন বাসা বেঁধেছে। মাহমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সাইদুল হক পলাশ বলেন, স্টান্ডরিলিজ এর খবর শুনে যেকোনো ব্যক্তি মানসিক ভাবে অসুস্থ বোধ করতে পারে বটে যার জন্য কখনো ৭দিনের বেডরেস্ট প্রয়োজন হয়না; তাছাড়া মাহমুদা খাতুন যদিব নির্দেশণা পাবার আগে থেকেই অসুস্থতা জনীত ছুটিতে থাকতেন তাহলে ওনার ছুটি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হতে পারতো, তাছাড়া তিনি অসুস্থতার ছুটি নিয়ে ঢাকা তদবীরের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন, নানা জায়গা থেকে স্থানীয় প্রশাসনের উপর বদলী বাতিলের জন্য চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন যেটা সরকারি কর্মচারী আইনের সম্পূর্ণ পরিপস্থী। এক জন দন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে একসাথে এতগুলি ভুলের প্রশ্রয় দিলে স্বভাবতই আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
বারবার দন্ডপ্রাপ্ত একজন শিক্ষিকাকে রক্ষার জন্য কিছু অশুভশক্তি কেন যে মরিয়া হয়ে উঠেছেন, সে প্রশ্ন এখন সকলের । অপরাধীরা যদি যথাযথ ভাবে আইনের আওতায় আসে তবেই মিলবে জাতির মুক্তি আর শিক্ষাঙ্গনে সেটি আরও বেশি জরুরী।