রোজা শরীফ :
বরিশাল শহরের প্রধান সড়ক সদর রোড এর চিত্র, কীর্তনখোলা, সুগন্ধা, সন্ধ্যাসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর জোয়ারের পানিতে নদী তীরবর্তী এলাকাসহ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। সেইসঙ্গে বেশির ভাগ নদী উত্তালও রয়েছে।
কীর্তনখোলা নদীতে প্রচুর বাতাসের সঙ্গে নদী বেশ উত্তাল দেখা গেছে। বিশেষ করে বাক গুলোতে বাতাসের চাপে নৌযান চালনা কঠিন হয়ে পড়েছে লঞ্চ ও ট্রলার চালকদের। তাই ছোট-বড় সব ধরনের নৌযানকে হিসেব করে কীর্তনখোলা পাড়ি দিতে হচ্ছে।
এদিকে অতি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কীর্তনখোলা তীরবর্তী চরবাড়িয়া, লামচড়ি, শায়েস্তাবাদের নিম্নাঞ্চলগুলো। সেইসঙ্গে বরিশাল শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা খালগুলোর পানি যেমন নিচু এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে দিচ্ছে, তেমনি খালের সঙ্গে সংযুক্ত ড্রেনের মাধ্যমে রাস্তাঘাটে পানি ওঠে আসছে।
চরবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা রাসেল জানান, দুপুর থেকে কীর্তনখোলা নদী বেশ উত্তাল রয়েছে, সেইসঙ্গে নদী তীরে বাতাসের গতিবেগও অনেক। অনেকটা ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে নদীর পানি বাড়ছে। বিকেল ৩টা নাগাদ নদী তীরবর্তী অনেকের বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে গেছে। এসব বাসিন্দারা বিপাকে রয়েছেন।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, সামনে পূর্ণিমা রয়েছে। এর আগে নদ-নদীর পানি বাড়া প্রাকৃতিক নিয়মে স্বাভাবিক। তবে আজ বাতাসের গতি বেশি থাকায় স্বাভাবিক নিয়মের থেকে নদীর পানি বেশি বেড়েছে।
এদিকে দুপুরে এ জোয়ারে কোন নদীতে কী পরিমাণ পানি বাড়ছে তা সন্ধ্যা নাগাদ সঠিকভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার দপ্তর।
অপরদিকে বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সকালে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে।