বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হতে চান আ.লীগের ৫ নেতা
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
বরগুনা প্রতিনিধি,
রগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা দলের মনোনয়ন লাভের জন্য লবিং-তদবির শুরু করেছেন। এদের মধ্যে পাঁচজনের নাম বেশ আলোচিত হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পরপরই এই পাঁচজন নেতার নাম ইতোমধ্যেই গণমানুষের আলোচনায় চলে এসেছে।
নেতারা হলেন বরগুনা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবির, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুল মোতালেব মৃধা, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা, জেলা আ.লীগ নেতা সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন হিমু মোল্লা।
এ ছাড়াও আরও কয়েকজন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের ত্যাগী ও প্রবীণ নেতাদের মূল্যায়ন করবে আওয়ামী লীগ; যারা দীর্ঘদিন ধরে দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, দলীয় সংসদ সদস্য কিংবা লাভজনক কোনো পদ-পদবি এখনও পাননি, সেসব নেতাকে এবার মূল্যায়ন করা হবে বলে মনে করছেন প্রবীণ নেতারা।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের দুঃসময়ের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সংস্থা, নিজস্ব টিম, দলের সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে খোঁজখবর নিচ্ছেন। জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সেখানে যারা কাজ করতে পারবেন, যারা জেলার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য তেমন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
দুই মেয়াদে যারা জেলা পরিষদের দায়িত্বে ছিলেন এবার তাদের অধিকাংশই বাদ পড়বেন দলীয় মনোনয়ন থেকে। এবার নতুন মুখ এবং দুঃসময়ের কর্মীদের মূল্যায়ন করতে চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে মনে করেন স্থানীয় নেতারা।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর ৬১ জেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ হবে। এসব জেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর। বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর। বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর।