বরিশালের মুলাদীতে এবার দ্রুতগতির ‘ফাইটার’ দিয়ে ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা। উপজেলা মৎস্য দপ্তর, নৌ পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়েও বন্ধ করতে পারছেন না ইলিশ নিধন। এতে জেলেদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে প্রশাসন।
জেল-জরিমানার পরেও শত শত জেলে উপজেলার আড়িয়ালখাঁ ও জয়ন্তী নদীতে ইলিশ শিকার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুতগতির ‘ফাইটার’ দিয়ে চলাচল করায় বেশিরভাগ সময় জেলেদের ধরতে পারছে প্রশাসন।
জানা গেছে, মুলাদী উপজেলার ভেদুরিয়া, আবুপুর, সফিপুর, নন্দীরবাজার, চরবাটামারা, আলীমাবাদসহ প্রায় ২০টি স্থানে বেশি ইলিশ পাওয়া যায়। জেলেদের এসব এলাকায় প্রতিদিন কয়েক শত জেলে মাছ শিকার করেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশ ট্রলার নিয়ে জেলেদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু জেলেরা তাদের ছোট নৌকাগুলোতে শক্তিশালী ইঞ্জিন বসিয়ে ‘ফাইটারে’ রূপান্তর করেছেন। এগুলো ট্রলার কিংবা স্পিড বোর্ডের চেয়েও দ্রুতগামী। তাই এসব জেলেদের সহজে আটক করা সম্ভব হচ্ছে না।
চরকালেখান ইউনিয়নের মৃধারহাট এলাকার বাসিন্দা মো. আলী হোসেন বলেন, আবুপুর ও ভেদুরিয়া স্থানটি জয়ন্তী ও মেঘনা নদীর মোহনা। এই স্থানে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যায়। তাই অবৈধ ‘ফাইটার’ ব্যবহার করে জেলেরা এখানেই বেশি ইলিশ শিকার করছেন। জয়ন্তী ও মেঘনা নদীর মোহনায় ইলিশ শিকার বন্ধ করতে পারলেই বিপুল পরিমাণ ইলিশ রক্ষা হবে।
উপজেলা মৎস্য দপ্তর জানায়,উপজেলার জয়ন্তী ও আড়িয়ালখাঁ নদীতে অভিযান চালিয়ে ২২ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮জনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এর পরেও জেলেরা নদীতে ইলিশ শিকারে নামছেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এএফএম নাজমুস সালেহীন বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলায় জয়ন্তী নদীতে ৩টি এবং আড়িয়ালখাঁ নদীতে ২টি দল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ২টি স্পিডবোট রয়েছে। জেলেদের ‘ফাইটার’ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।