নিহত ভারতীয় নাগরিক জাভেদ খান। ছবি-সংগৃহীত
নিহত ভারতীয় নাগরিক জাভেদ খান। ছবি-সংগৃহীত
বরিশালে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসার দুই দিন পর মারা গেছেন ভারতীয় এক যুবক। সোমবার তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বুধবার ভোররাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
পাসপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ওই যুবকের নাম জাভেদ খান (২৯)। তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের হাসানপুরের বাসিন্দা।
জাভেদ খানের প্রেমিকা বরিশাল নগরীর ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা তুজ-জোহরা খুশি বলেন, সোমবার রাতে বুকের ব্যথা নিয়ে জাভেদ শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ ভোর রাতে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর জাভেদের পরিবারকে জানিয়েছি। মৃত্যুর খবরও জানানো হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১০ অক্টোবর দুপুর থেকে জাভেদ শেবাচিম হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন।
গত ৯ অক্টোবর বরিশালে এসে নগরীর কাটপট্টি সড়কের হোটেল এ্যাথেনার একটি কক্ষে ওঠেন জাভেদ খান। ওই হোটেলের অভ্যর্থনাকারী মো. সাব্বির জানান, জাভেদ খান নামে ভারতীয় ওই নাগরিক ৯ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে হোটেলের ৪১০ নম্বর কক্ষে ওঠেন। বন্ধু পরিচয় দিয়ে এক তরুণী হোটেল কক্ষে তার (জাভেদ) সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ১০ অক্টোবর বিকেলে তিনি হোটেলের কক্ষটি ছেড়ে দেন। বুধবার সকালে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন।
বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, ভারতীয় নাগরিক জাভেদ খান ৯ অক্টোবর সকালে বরিশালে আসেন। ১০ অক্টোবর অসুস্থ্য হয়ে তিনি শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার ভোর রাত ৪টার দিকে শেবাচিম থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে জাভেদ খান মারা যান। এ ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে জাভেদ খানের মরদেহ শেবাচিম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
শেবাচিম হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রিফাতুল হায়দার বলেন, জাভেদ খানের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।