আইএলও-এর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, উন্নত ও উন্নয়নশীল- সব দেশের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকেরা করোনার কারণে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করতে পারলেই টিকে থাকা ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য গড়ে তোলা যাবে।আইএলও-এর মতে, আবাসন (হোটেল-মোটেল), খাবার ব্যবসা, উৎপাদন, খুচরা ব্যবসা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কি ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে বা নেবে – এর ওপরেই শ্রমবাজারে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নির্ভর করছে।আইএলও আরও বলছে, নতুন এক সমীক্ষা অনুযায়ী, সোয়া ১২৫ কোটি শ্রমিক সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন। তাঁরা এমন সব খাতে কাজ করেন যেগুলো করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এসব খাতের বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিংবা মজুরি কমিয়ে দিতে পারে। আইএলও বলছে, আমেরিকা অঞ্চলের ৪৩ শতাংশ এবং আফ্রিকা অঞ্চলের ২৬ শতাংশ শ্রমিক কাজ হারানো বা মজুরি কমে যাওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলোতে কাজ করেন।