প্রকৌশলীকে চড়: নেতার কাছে দুঃখ প্রকাশ কৃষক লীগের বানি আমিনের
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ
জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রকৌশলী ম ইনামুল হককে চড় মেরেছিলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি বানি আমিন। তার দাবি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘বাজে কথা’ শুনে তিনি মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। ওই ঘটনার জন্য সংগঠনটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদের কাছে লাঞ্ছনাকারী বানি আমিন ক্ষমা চেয়ছেন।
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, হাওর ও জলাভূমি অধিদপ্তরসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক ইনামুল হক এখন ‘সর্বজন বিপ্লবী দল’ নামে একটি রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে সক্রিয়। গত ২৪ ডিসেম্বর শাহবাগে তার দল লিফলেট বিলি করছিল, সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সর্বজন বিপ্লবী দলের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করছিলেন ইনামুল হক। ব্যানার টানিয়ে ২৭ ডিসেম্বর অর্ধদিবস হরতাল পালনের আহ্বান জানাচ্ছিলেন ইনামুল এবং আরও তিন নেতা-কর্মী। হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে ইনামুল হককে চড় মারেন। ওই সময় ওই ব্যক্তি বলছিলেন, ‘দেশ ধ্বংস করছে মানে? দেশ কই ধ্বংস হইছে?’
এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওর জেরে চড় মারা ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়।
ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, একজন সাংবাদিক যখন ইনামুল হকের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন, তখন এক ব্যক্তি এসে হঠাৎই ওই প্রকৌশলীকে চড় মেরে বসেন। প্রবীণ একজন প্রকৌশলীকে এভাবে প্রকাশ্যে অপদস্থ করার সমালোচনা চলছে সোশাল মিডিয়ায়। দুই দিনেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
চড় মারার বিষয়ে জানতে চাইলে গত সোমবার বিকেলে বানি আমিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছে সেখানে গিয়ে দেখি এক ব্যক্তি হাতে লিফলেট নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাজে কথা বলছে। তা শুনে মাথা ঠিক রাখতে পারিনি, অজান্তেই তার ওপর হাত ওঠে গেছে। যদিও আমার এটা করা ঠিক হয়নি।’
মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ জানান, বানি আমিন কৃষক লীগ করার আগে কাজিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। এ বছরের ২৫ জুলাই কৃষক লীগের কাউন্সিলে তিনি কাজিপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি এলাকায় পরিচিত মুখ।
ওয়াসিম বলেন, ‘চড় মারার ঘটনায় আমার (ওয়াসিম) কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বানি আমিন। নেত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলায় তিনি তা সহ্য করতে পারেননি। তাই এমনটি ঘটেছে। এমন করাটা যে ঠিক হয়নি, সেটা স্বীকার করেছেন তিনি।’