পিরোজপুর জেলা সমবায় অফিস ও একাধিক সমিতি সুত্রে জানা গেছে, গোলাম কবির শরীফ পিরোজপুর জেলা সমবায় অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব পাওয়ার পরেই তিনি সমিতির নিবন্ধন দেয়া শুরু করে। একেকটি সমিতি বিশ থেকে পচিঁশ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে নিবন্ধন দিয়েছেন।
এ ছাড়া তিনি উপজেলা সমবায় অফিস পরিদর্শনে গেলে তাকে পাচঁ হাজার টাকা দিতে হয়। গোলাম কবির শরীফ একজন চিন্থিত দুর্নীতিবাজ সমবায় কর্মকর্তা বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর জেলা সমবায় অফিসের কর্মকর্তারা।
গোলাম কবির শরিফের বদলীর খবরে সমবায় কর্মকর্তারা মিষ্টি বিতরন করেছে বলে জানান তারা। সুত্র জানায়,কমিটি অনুমোদনসহ কোন ফাইল গোলাম কবিরের টেবিলে আসলে তাকে ঘুষ না দিলে তিনি স্বাক্ষর করতোনা। গোলাম কবির শরীফ সমবায় বরিশাল বিভাগীয় অফিসের উপ-নিবন্ধক আরেক জামাত ইসলামীর নেতা মশিউর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের হয়রানী করে আসছিলেন। গোলাম কবির শরীফ দম্ভোক্তি করে বলেন মশিউর রহমানের সাথে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তিনি বরিশাল বিভাগীয় বড় কর্মকর্তা। আমার কেউ কিছু করতে পারবেনা।
এছাড়া গোলাম কবির শরীফ জামাতে ইসলামী সমর্থক হওয়ায় পিরোজপুর জেলা সমবায় অফিসকে জামাতে ইসলামীর অঘোষিত কার্যালয় বানিয়েছিলেন।
গোলাম কবির শরীফের নিকট ইন্দুরকানী থেকে প্রতিনিয়ত জামাতে ইসলামীর লোকজন দেখা করতে আসতো। পিরোজপুরের স্বাধিনতা স্ব পক্ষের লোকজন গোলাম কবির শরীফের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ ছিল। গোলাম কবির শরীফের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য গ্রুপিং সৃষ্টি, অনৈতিক সুযোগ সুবিদা আদায়, সমিতির বাজেট অনুমোদনের জন্য ঘুষ নেন। এসব ঘুষের টাকা সমবায় অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি নিয়ে থাকতেন।
শ্রেষ্ঠ এই ঘুষখোর কর্মকর্তার ঘুষ নেয়া দেয়ার কারনে সবাই অতিষ্ঠ। কারনে অকারনে কবির শরীফ সমিতিগুলো থেকে চাঁদা আদায় করছেন
বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব চাদাঁবাজীর ঘটনা স্বিকার করেছেন পিরোজপুরের একাধিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে গোলাম কবির শরিফের নিকট কল করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি।
উল্লেখ্য,জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গোলাম কবির শরিফ জামাত জোটের শরিক বিএনপির পক্ষে কাজ করেছেন।
নলছিটিতে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন । তখন ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল । আওয়ামীলীগ কর্মীদের হাতে কবির শরীফ লাঞ্চিত হয়েছিল। শুধু নলছিটিতেই নয় যেখানে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার দ্বায়িত্বে ছিলেন সেখানেই জামাত ও জামাত জোটের পক্ষে কাজ করেছেন তিনি। তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে থলের বিড়াল।