নাজমুল সানী : বাবা মা থেকেও যার বাবা মা নেই। নাম তার সুখী কিন্তু গত ৩০ বছর দুঃখের জীবন পার করছেন। অন্য ১০ টি মেয়ের মতো স্বাভাবিক ভাবে জন্মগ্রহণ করেন সুখী (৩০)। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস জন্মের পরেই পিতৃ পরিচয় হারান সুখী।
২০ মার্চ ১৯৮৮ সালে মোক্তার হোসেনের স্ত্রী জাবেদা বেগমের গর্ভে জন্মগ্রহন করেন সুখী। সুখীর জন্মের পর তার মাতা জবেদা বেগমের সাথে তার বাবা মোক্তার হোসেন সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া দেন।
কৈশোরে পা দিলো সুখী বয়স যখন ৫ তার জীবনটা কাটানোর কথা মা বাবার কোলে কিন্তু ৫ বছর বয়সে মা অন্যত্রে বিবাহ বন্ধে আবব্ধ হয়ে পরেন। নাবালিকা সুখী তখন বাবা / মা বিহীন অন্যোর আশ্রয়ে লালিত পালিত হন।
সুখী পিতৃ পরিচয় আদায়ের দাবীতে বিভিন্ন দপ্তরের সরনাপন্ন হয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। বাবার অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হন।
সর্বশেষ গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ সালে মিমাংসায় সুখী তার পিতৃত্বের হক আদায়ে তার বাবার কাছে দাবী উত্থাপন করিলে তিনি সন্তান হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করেন।
পিতৃত্বের দাবীতে সুখী বাদী হয়ে তার বাবা মোক্তার হোসেনর বিরুদ্ধে একটা পারিবারিক মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৭/২০২১।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, সুখী গত ২০ মার্চ ১৯৮৮ সাল থেকে জানুয়ারি ২০২১ তারিখ পর্যন্ত বকেয়া ভরনপোষণ বাবদ প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ৩৯৩ মাসের ১৯ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দাবি করেন।
এ ব্যাপারে তার বাবা মোক্তার হোসেন বলেন আমি জাবেদা বেগম কে বিয়ে করি ঠিক কিন্তু ঐ সন্তান (সুখী) আমার না।
এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী এ্যাডভোকেট সুফিয়া আক্তার বলেন মামলা হয়েছে আমরা ভুক্তভোগী সুখীকে আইনগত সহয়তা দিবো তিনি যেন তার পিতৃত্বের অধিকার ফিরে পায়।