শুক্রবার ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার   শুক্রবার ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ



পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটনের বিকাশ হলে স্বার্থান্বেষীদের অস্তিত্ব থাকবে না
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৪২ অপরাহ্ণ |
অনলাইন সংস্করণ

পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটনের বিকাশ হলে স্বার্থান্বেষীদের অস্তিত্ব থাকবে না
দেশ-বিদেশে প্রপাগান্ডা চালানোই তাদের মূল হাতিয়ারsharethis sharing button
পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটনের বিকাশ হলে স্বার্থান্বেষীদের অস্তিত্ব থাকবে না

ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান পার্বত্যাঞ্চল। ফাইল ছবি

পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটনের বিকাশ হলে স্বার্থান্বেষীদের অস্তিত্ব থাকবে না। এ কারণে দেশ-বিদেশে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানোই তাদের মূল হাতিয়ার। বান্দরবানের চন্দ্রপাহাড়ে পাঁচ তারকা হোটেল ম্যারিয়ট নির্মাণের বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানো অব্যাহত রেখেছে। এটি নির্মাণ হলে পার্বত্যাঞ্চলের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশ-বিদেশের পর্যটকের ভিড় বাড়বে। প্রকল্পটি বান্দরবান জেলার লামা থানাধীন জীবননগর চন্দ্র পাহাড়ে অবস্থিত।

পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এই পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ ও পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের পক্ষে। তারা বলেন, আধুনিক যুগে থেকেও আমরা পিছিয়ে আছি দুটি সন্ত্রাসী সংগঠনের কারণে। জেএসএস মূল ও ইউপিডিএফ মূল এই দুটি সংগঠন মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি করছে পার্বত্যাঞ্চলে। চাঁদাবাজি ও তাদের অস্তিত্ব টিকে না থাকার আশঙ্কায় তারা পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠী আরো বলেন, পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণে আমাদের কাউকে উচ্ছেদ করা হয়নি। বরং এটি নির্মিত হলে এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়বে।

পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এটি আকর্ষণীয় স্থান। কিন্তু পাঁচ তারকা হোটেল মোটেল ও রিসোর্টসহ নানা অবকাঠামোর অভাবে অনেক পর্যটক এখানে যেতে পারেন না। পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ হতে ২০১৫ সালে ২০ একর জমি বন্দোবস্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটন শিল্প বিকাশে বিরোধিতায় নেমেছে দুই সংগঠন জেএসএস মূল ও ইউপিডিএফ মূল।

পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটন বিকাশের বিরোধিতায় দুটি সংগঠন

সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠা হলে তাদের কর্তৃত্বের অবসান ঘটবে বলে তারা অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে দিতে চায় না। এই দুই সংগঠন মাসে মোটা অঙ্কের টাকার চাঁদা আদায় করে পার্বত্যাঞ্চলে। আর এই টাকার ভাগ কতিপয় বুদ্ধিজীবী ও এক শ্রেণির রাজনীতিবিদরা পান। এ কারণে জেএসএস মূল ও ইউপিডিএফ মূলের পক্ষে বিভিন্ন সময় তারা কথা বলেন, বিবৃতি দেন। এই অবস্থার অবসান ঘটানোর দাবি জানিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিরা বলেন, আমরা শান্তি চাই, এক সাথে বাঁচতে চাই।

বান্দরবানের চন্দ্রপাহাড়ে পাঁচ তারকা হোটেল প্রকল্পটির জমির পরিমাণ ২০ একর, যা স্বার্থন্বেষী মহল কর্তৃক ১০০০ একর দাবি করা হয়েছে। এছাড়া উক্ত প্রকল্পের ৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোন বসতি নেই। উক্ত প্রকল্পের ফলে ১০ হাজার জনগোষ্ঠী উচ্ছেদ হবে বলে বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে পার্শ্ববর্তী চারটি পাড়ায় সর্বমোট জনবল ৮১৭ জন এবং তাদের মধ্যে কারোর বাস্তুচ্যুত হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। নিকটবর্তী দোলাপাড়া চন্দ্রপাহাড় হতে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই গ্রাম/পাড়া উচ্ছেদ কিংবা বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে কবরস্থান নষ্ট করার বিষয়টি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন।

 

উক্ত এলাকার ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোন বাঙালি জনবসতি নেই এবং বাঙালি একক মালিকানাধীন কোন প্রকল্পও নেই। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ১০০০ থেকে ১৫০০ জন উপজাতি পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বান্দরবান উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

পার্বত্যাঞ্চলে হত্যা করা হচ্ছে মূল ধারার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের

 

 

অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত, পাহাড়ি জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং পাহাড়ি জনগণের উৎপাদিত কৃষি পণ্য আগত পর্যটকদের কাছে ন্যায্যামূল্যে বিক্রয় করতে পারবে। দোকান ও রেস্তোঁরা ব্যবসার মাধ্যমে স্থানীয় উপজাতীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম উক্ত এলাকায় বেগবান হবে বিধায় নিরাপত্তা পরিস্থিতিও উন্নয়ন হবে। সার্বিকভাবে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হওয়ায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে বান্দরবানের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ তৈরি হবে।

 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় পাহাড়ি এলাকায় পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য সরকারি/বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারত ও নেপালে হিমালয় পর্বতমালাকে ঘিরে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পর্যটন শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। বর্তমান সরকার যখন পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে, ঠিক তখনই পর্যটনবান্ধব একটি প্রকল্পকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান উপদেষ্টা : প্রফেসর শাহ্ সাজেদা ।

উপদেষ্টা সম্পাদক : সৈয়দ এহছান আলী রনি ।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মামুনুর রশীদ নোমানী ।

যোগাযোগ: আদালত পাড়া সদর রোড,বরিশাল।

ইমেইল: [email protected]

মোবাইল: 01713799669/01711358963

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি।
© বরিশাল খবর সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

  নলছিটির মগড় ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চান মোঃ সাইফুজ্জামান সুমন তালুকদার   প্রাণ ফিরছে বরিশাল নগরীর ৭ খালে   বেতারের সঙ্গীত শিল্পী (পল্লীগীতি) হিসেবে মনোনীত হলেন অ্যাড: জুয়েল   বরিশালের মাহমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষিকা স্ট্যান্ড-রিলিজ !   বরিশাল ল’ কলেজে দুর্নীতি, উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাৎ   অনিয়ম দুর্নীতির আতুরঘর বরিশাল বেতার : চলছে জোড়াতালি দিয়ে   বরিশাল ডাকঘরের ক্যাশিয়ার নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ   দেড় লাখ মামলা মাথায় বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীর   আলু শুন্য বরিশালের পাইকারী বাজার   বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি শুরু   মাদারীপুরের হিমাগারে ৩০ হাজার বস্তা, বাজারে আলুর কৃত্রিম সংকট   যুদ্ধ স্যাংশন সংঘাতের পথ এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান   Mamunur Rashid Nomani charged with violating Bangladesh’s Digital Security Act   ঝালকাঠিতে রোহিঙ্গা আটক এসেছিলো ভোটার হওয়ার জন্য   সাঈদুর রহমান রিমনকে নিয়ে দিলিপ কুচক্র মহলের ষড়যন্ত্রের জবাব!   বাবুগঞ্জে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের চার সদস্য আটক   নলছিটিতে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ   অপরাধ ঘটাতে আগাম ‘রেকি‘ করে গেছেন তারা!   ঝালকাঠি কারাগার: কু-প্রস্তাবের দাম দশ লাখ টাকা! জেলার বহাল তবিয়তে   রাজাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতির আখড়া