অনলাইন ডেস্ক : বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কীর্তনখোলা নদীর পানি। ফলে তলিয়ে গেছে বরিশাল শহর, সদর রোডে থই থই করছে পানি। নদীতে পানি ও ব্যাপক বৃষ্টিতে পরিস্থিতি অবনতির দিকে। তবে দুইদিন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে জানায় আবহাওয়া দফতর ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শুধু বরিশাল শহরই নয় বিভাগের ছয়টি জেলা সদর এবং ৪২টি উপজেলা সদরের চিত্র এর থেকেও বেশি ভোগান্তির। দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার পরিবার। পানি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী না হলেও ক্ষতিরমুখে পড়তে পারেন বলে শঙ্কা কৃষক ও মাছ চাষিদের।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, বিভাগের সবগুলো নদীর পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধ, বৃহস্পতি, শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে এই চিত্র স্বাভাবিক। তবে বেশিদিন পানি বৃদ্ধি থাকলে নদী ভাঙন দেখা দেবে।
তিনি বলেন, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ১ মিটার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝালকাঠি জেলার বিশখালী নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা জেলার বিশখালী নদীর পানি ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর পানি ১ মিটার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার এবং উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।