মো. জহিরুল ইসলাম,কুয়াকাটাঃ সাগরকন্যা কুয়াকাটা সৈকতের আকাশে এবার প্রথমবারের মতো উড়লো প্যারাসুট। আর এ প্যারাসেলিং এক নজর দেখতে ভীড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। তবে বানিজ্যিক ভাবে উড়াতে অনুমতির অপেক্ষায় সী-বিচ ট্যুরিজম কতৃপক্ষ।
গত দুই-তিন দিন বেশ কয়েকবার পরীক্ষামূলকভাবে এ বস্তুটি উড়িয়েছেন সী-বিচ ট্যুরিজমের মালিক লিটন খান। তবে প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় কোন পর্যটক উঠেননি এ প্যারাসুটে।
সী-বীচ ট্যুরিজমের সত্ত্বাধিকারী, লিটন জানান, গত চার বছরের একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি কুয়াকাটা সৈকতে এই প্যারাসিলিং এর যাত্রা শুরু করার চেষ্টা করছি এখন শুধু জেলা প্রশাসক কতৃক অনুমতি পেলে আমি সম্পূর্ণ প্যারাসিলিং এর বিনোদন দিতে পারবো।
তিনি আরো জানান, প্যারাসুট মূলত সবার আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দু। কিন্তু এ বস্তুটি সচরাচর দেখা মেলেনা। এটি মূলত আত্মরক্ষার জন্য বিমানে রাখা হয়। আবার পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য এটি বিভিন্ন পর্যটন স্পটে উড়ানো হয়। প্যারাসুট উড়ানোর সময় পাখির চোখে সৈকত উপভোগ করতে চায় অনেক পর্যটক।
নওগাঁ থেকে আসা পর্যটক আফরোজা জানান, কুয়াকাটা এসে সৈকত উপভোগ করছিলাম। দেখলাম পাখির মতো কোন বস্তু আকাশে উড়ছে। পরে দেখলাম স্পীড বোডের সাহায্যে প্যারাসুটের মাধ্যমে প্যারাসেলিং করছে। ইচ্ছে হলো নিজেও করি। কিন্তু এটি নাকি পরীক্ষামূলকভাবে উড়ানো হয়েছে। তাই আর উঠতে পারলাম না। তবে যদি এটাকে প্রতিনিয়ত করা হয় পর্যটকরা বাড়তি বিনোদন পাবে।
সী-বিচ ট্যুরিজম কতৃপক্ষ বলেন, প্যারাসুট উড়াতে আমরা এখানে একটি স্পীড বোড কিনেছি।এবং নিরাপত্তার জন্য একটি ওয়াটার বাইক ব্যবহার করা ও দক্ষ চালক নিয়োগ সহ সার্বিক ব্যবস্থা ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে কুয়াকাটা সৈকতে সবসময়ই প্যারাসেলিং করানো হবে।
ট্যুর অপারেটরস এ্যাসিয়েশন অফ কুয়াকাটা (টোয়াক)’র সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মূলত কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটছে। আগত পর্যটকরা এখানে কক্সবাজারের ফ্লেভারটা চাচ্ছে। এখানে বীচ এ্যাক্টিভিটির জন্য পর্যটকদের বিনোদনে প্যারাসেলিং সহ স্ক্রুটার প্রয়োজন। তবে এগুলো হতে হবে পর্যটক বান্ধব।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক জানান, প্যারাসুট মূলত পর্যটক আকর্ষনের অন্যতম কেন্দ্র বিন্দু। এটা মূলত কিভাবে উড়ানো যাবে বা এটি বীচ বান্ধব কিনা কিংবা এটা বীচে উড়ানো সম্ভব কিনা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে কিনা এসব দিক বিবেচনা করে বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।