চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকায় গ্রেফতার নাসির উদ্দিন মাহমুদ ওরফে নাসির ইউ মাহমুদের বাড়ি ঝালকাঠিতে। ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড়ে তার পৈত্রিক বাড়ি হলেও তার বেড়ে ওঠা বরিশাল শহরে।
সোমবার তার গ্রেফতারের খবরে ঝালকাঠি শহরে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা দেখা দেয়।
জানা গেছে, তার বাবা মো. হারুন রশীদ পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন। সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে অনেক বছর আগে অবসরে যান। বরিশাল শহরের বগুড়া রোডে তাদের বসবাস ছিল। নাসির উদ্দিন মাহমুদের চাচা বেলায়েত হোসেন দীর্ঘদিন ঝালকাঠি পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।
নাসির উদ্দিন মাহমুদ পটুয়াখালী জুবিলী স্কুল, বরিশাল জিলা স্কুল এবং বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৫/৭৬ সালে তিনি এসএসসি পাস করেন। ঝালকাঠি শহরের রোনালসে রোডের বিউটি মঞ্জিল নাসির উদ্দিন মাহমুদের শ্বশুরালয়। তার শ্বশুর মৃত আব্দুর রশিদ ঠিকাদার ছিলেন।
নাসির উদ্দিন মাহমুদ ব্যবসার প্রথম জীবনে ঝালকাঠি এবং বরিশাল শহরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদারি করতেন। নব্বই দশকের শেষের দিকে তিনি ঢাকায় স্থায়ী হয়ে ব্যবসা শুরু করেন।
এদিকে নাসির উদ্দিনের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তার প্রসঙ্গে কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে না প্রকাশ না করার শর্তে এক কাউন্সিলর বলেন, অনেক দিন হলো নাসির উদ্দিন এলাকায় আসেন না। গত ৫ বছর আগে একবার এলাকায় এসেছিলেন, এর পর আর আসেননি।
তিনি বলেন, চিত্রনায়িকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে এলাকায় অনেক সমালোচনা হচ্ছে। তবে তার পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলছেন না।